পাংশার মৌরাটের রাব্বিকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
- Update Time : ১০:১২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩
- / ৩২৪ Time View
ইমরান হোসেন মনিম, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাব্বি মন্ডল। রাজবাড়ীর মৌরাট ইউনিয়নের মহিষভায়ঙ্গা গ্রামের মো. আক্তার হোসেনের ছেলে। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর প্রতিবেশি রানা মৃধা ও তন্ময় মৃধা স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিলে ডেকে নিয়ে গেলে রাব্বি মন্ডল আর বাড়ি ফিরে আসেনি।পর দিন রাব্বির মৃত পাওয়া যায় রাব্বিদের বাড়ি সামনের কয়েকশ গজ দুরে একটি ফসলী মাঠে। সে সময় রাব্বি মন্ডলের পরিবার থানায় মামলা করতে চাইলেও মামলাটি পাংশা থানা ইউডি মামলা হিসেবে দায়ের করে।রাব্বির পরিবারের সন্দেহ ছিল তাদের ছেলেকে ওরা দুই জন ওয়াজের কথা বলে নিয়ে গীয়ে হত্যা করেছে।কিন্তু ওই মামলাটি পোস্ট মর্টেম ( ভিসেরা) রিপোর্ট আসা পর্যন্ত রাব্বিকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা জানা যাচ্ছিল না।শেষে গত কয়েকদিন আগে পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে রাব্বিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রান মেলে। রাব্বি মৃত্যুর ওই রাতে রানা ও তন্ময়কে দৌড়িয়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায় রাতের অন্ধকারে বাজারে থাকা সিসি টিভি ফুটেজে। তখন থেকেই রাব্বির পরিবার তাদের ছেলে হত্যার বিচারের দাবীতে কোর্টে হত্যা মামলা দায়ের করেন এ দুই জনের নামে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. গিয়াসউদ্দিন খান তার পোস্ট মর্টেম ভিসেরা রিপোর্টে রাব্বিকে শ্বাসরোধে হত্যার প্রমান তার রিপোর্টে উঠে আসে।এ ঘটনায় ওই সময় রাব্বির বাবা মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে রাজবাড়ী কোর্টের ১ নং বিজ্ঞ আমলী আদালত একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রানা মৃধা ও তন্ময় মৃধাকে আসামী করে।১ নং আসামী রানা মৃধা পাংশার মৌরাট ইউনিয়নের মহিষভাঙ্গা গ্রামের ইমান আলী মৃধার ছেলে, ২ নং আসামী তন্ময় মৃধা একই এলাকার হাসেম আলী মৃধার ছেলে।বর্তমানে আসামী দুজনকে ভিসেরা রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমান পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।গত মঙ্গলবার রাতে তাদের পাংশা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার আদালতে হস্তান্তর করে। এদিকে প্রতিবেশি আসামী রানা মৃধা ও তন্ময় মৃধার পরিবার মৃত রাব্বির পরিবারের সাথ বিষয়টি সুরাহার জন্য প্রতিনিয়ত তাদের সাথে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মিমাংসার পায়তারা করে যাচ্ছেন । গত ২২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে রাব্বিকে ওয়াজ শুনতে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে রাব্বিদের বাড়ির সামনে কয়েকশ গজ দুরে ফসলী ক্ষেতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত মামলাটি ইউডি মামলা হিসেবে থানায় রুজু হয়।বর্তমানে অপমৃত্যু মামলাটি ( ইউডি) মামলাটি তদন্ত করে প্রমান সাপেক্ষে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহন করা হবে।
রাব্বির চাচাতো ভাই মো. নাইম হোসেন,ভাই বলেন, আমাদের সেসময় ধারনা ছিল রাব্বিকে মেরে ফেলা হয়েছে।কিন্তু আমাদের হাতে কোন প্রমান না থাকায় থানা আমার ভাইয়ের মামলাটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে।পরে আমরা কোর্টে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি।কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না পাওয়ায় আমরা এ মামলাটির কিছু করতে পারিনি।এখন পোস্টমর্টেম রিপোর্টে শ্বাসরোধে হত্যার প্রমান পাওয়ার আমাদের ধারনা সঠিক হয়েছে।আমরা চাই আমাদের ভাই হত্যার সঠিক ও দৃষ্টান্ত মূলক বিচার।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, পোস্টমর্টেম ভিসেরা রিপোর্টের ভিত্তিতে রাব্বির মৃত্যু মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠিয়েছি। এখনো এই মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে।তদন্তে প্রমান পাওয়া গেলে রাব্বি হত্যা অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহনযোগ্য হবে। প্রথম জন ১ নং আসামী রানা মৃধা,২য় জন ২ নং আসামী তন্ময় মৃধা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়