রাজবাড়ী-খুলনা রেল রুটে নকশিকাঁথা ট্রেনে অর্ধেক কোচই নেই ! যাত্রী দূর্ভোগ চরমে

- Update Time : ০৬:৪৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
- / ৬৩ Time View

রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ী-খুলনা রেল রুটে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় চলাচলরত নকশিকাঁথা ট্রেনটিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে কোচের অভাবে চরম দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন, যাত্রী ও ট্রেনের সাথে সম্পৃক্তরা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে রাজবাড়ী রেলষ্টেশনে গিয়ে দেখাযায়, জেলার দৌলতদিয়া ষ্টেশন থেকে নকশিকাঁথা ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসেছে। ট্রেনটিতে মাত্র চারটা কোচ। এর মধ্যে গার্ড ব্রেক ও পাওয়ার গার্ডের জন্য একটি কোচের অর্ধেক তাদের দখলে। যাত্রীদের জন্য রয়েছে মাত্র সাড়ে ৩টি বগি। সে সময় ওই ট্রেনের ইঞ্জিনসহ কোচ গুলোতে ছিলো উপচে পরা ভরি। কোথা বসা বা দাঁড়ানোর জায়গা নেই।
কেন এমন দূর্ভোগ, এ প্রশ্ন করতেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রেনের ইঞ্জিন চালক বলেন, এ অবস্থা প্রায় ২০ দিন ধরে। নকশিকাঁথা ট্রেন ৮টি কোচসহ চলাচল করার কথা। অথচ এখন মাত্র ৪টি কোচ আছে এই ট্রেনে। যে কারণে যাত্রীরা কোচের মধ্যে জায়গা না পেয়ে উঠে আসে ইঞ্জিনে। রীতিমত চরম বিব্রত হতে হচ্ছে তাদের। ভীর ঠেলে নিজেদের ইঞ্জিনি উঠানামা করতেও কষ্ট হয়। তাছাড়া কোচের টিকেট চেকার, পুলিশ সদস্যদের অবস্থানসহ ট্রেনে অবস্থানরত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হচ্ছেন চরম ভাবে নাজেহাল।
রাজবাড়ী রেলষ্টেশন মাষ্টার তন্ময় দত্ত বলেন, নকশিকাথা ট্রেনটি বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত। প্রতিদিন সকালে ওই ট্রেনটি খুলনা থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে আসে এবং তা দুপুরে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া সংগ্রহ করে ঠিকাদারের নিযুক্ত কর্মচারীরা।
তিনি আরো বলেন, নকশিকাঁথা ট্রেনে যাত্রীর প্রচুর চাপ থাকে। তবে কোচের অভাবে যাত্রীরা ট্রেনে জায়গা পান না। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীরা ধাক্কা-ধাক্কির কারণে প্রতিনিয়ত কষ্ট পাচ্ছেন। এই অবস্থার দ্রুত সুরাহা হওয়া জরুরী।
খুলনায় অবস্থানরত এমএল টেরি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এমএ হান্নান জানিয়েছেন, ৮টি কোচ নিয়ে তাদের ট্রেনটি পরিচালনা করার কথা। অথচ তারা কোচ পাচ্ছেন না। সর্বশেষ ২০ দিন পূর্বে একটি কোচ মেরামতের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কসপে পাঠানো হয়েছে। যে কারণে বর্তমানে ৪টি কোচ নিয়ে তাদের ট্রেন পরিচালনা করাতে হচ্ছে। তারা সৈয়দপুরে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন, কোচটি মেরামত হয়ে গেলেই তা ট্রেনের সাথে সংযোন করা হবে। তিনিও স্বীকার করেন, যাত্রীরা দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তাছাড়া অনেকেই গন্তব্যে পৌছে গেলেও ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তারা ভাড়া না দিয়েই চলে যাচ্ছেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়