রাজবাড়ীর কোর্ট চত্বর থেকে স্বর্ণের কানের দুল খোয়ালেন আরেক মহিলা

- Update Time : ০৬:২০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
- / ৫৩ Time View

রুবেলুর রহমান, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাইন্ডকন্ট্রোলকারী একটি প্রতারক চক্র। চলতি মাসে এই চক্রটির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশ কয়েকজন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ীর কোর্ট চত্ত্বর থেকে অভিনব কায়দায় মাইন্ড কন্ট্রোল করে নাছিমা বেগম নামের এক মহিলার তিন আনি দ্ইু রত্তি ওজনের স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে গেছে ওই প্রতারক চক্র।
ভুক্তভোগী নাছিমা বেগম রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাচুরিয়া কোনাইলের হানিফ মল্লিকের স্ত্রী।
এরআগে চলতি মাসের (১১ অক্টোবর) শহরের এক নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে মাইন্ডকন্ট্রোল করে রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের মাস্টার্সে পড়ূয়া প্রিয়া আক্তারের কাছ দামি ফোন, সোনার আংটি, চেইন ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে চক্রটি। পড়ে (১৫ অক্টোবর) প্রিয়ার মা ছালমা বেগম বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এছাড়া (৪ অক্টোবর) একই কায়দায় সদর উপজেলার বসন্তপুর স্টেশন বাজার থেকে গৃহিনী রোকেয়া বেগমের স্বর্ণালংকার লুটে নেয় দুই যুবক।
ভুক্তভোগী মহিলা নাছিমা বেগম জানান, তার ভাই একটি মামলায় জেল হাজতে আছে এবং গতকাল তার ভাতিজা নাঈমকে পুলিশ ধরে এনেছে। আজ তার কোর্টে ওঠানো কথা। যে কারণে তিনিসহ দুই জন কোর্টে তাকে দেখতে এসেছেন। হঠাৎ বয়স্ক এক ব্যক্তি সহ দুইজন এসে জিঞ্জাসা করে কি জন্য কোর্টে এসেছেন। তখন তিনি ভাতজিাকে দেখতে এসেছেন এবং হাজতে আছে বললে ওই ব্যক্তি বলেন একটি কাজ করলে আপনার ভাই ৩ দিনের মধ্যে জামিন পাবে। কিন্তু কাউকে কিছু বলা যাবে না। আর তিনি একটি পাথর পড়ে দেবেন, সেই পাথরের গুনে ৩ দিনের মধ্যে জামিন পাবে। তখন তাকে ১০ টাকা দিতে বলে এবং সেই টাকা পড়ে দিয়ে আচলে বাঁধতে বলে। সরল বিশ্বাসে তার কথায় টাকা আচলে বেধে ওই ব্যক্তির কথা মত চলতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার সাথে সাথে যেতে বলে। কিছু দুর নিয়ে এক ব্যক্তি ফু দেয় এবং অন্যজন তার কানের দুল খুলে হাতে দেয়। তারপর তারা কোর্টের মুল গেইটের বাইরে নিয়ে কানের দুল ও ৫০টাকা চায় পড়ে দেবার জন্য। তখন তিনি কানের দুল ও টাকা দিয়ে দেন। তখন তাকে চার খাম্বা (পিলার) এর নিচে একটি নীল আছে, সেটি নিয়ে আসলে ৩ দিনের মধ্যে তার ভাই জেল থেকে বেড়িয়ে আসবে। তাদের কথা মত শহরের বড়পুল এলাকায় চার খাম্বার নিচে গিয়ে কিছুই না পেয়ে ফিরে এসে দেখেন ওই ব্যক্তি নাই।
দেলোয়ার শেখ, আলামিন মিয়া ও খোকন মাহমুদ সহ কয়েকজন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে রাজবাড়ীতে এই চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশাসন কাউকে শনাক্ত করতে পারে নাই। শহরের রেলগেইট, বাজার, কোর্ট চত্ত্বর, বড়পুল, মুরগি ফার্ম ও কলেজ এলাকায় এদের আনাগোনা। কয়েকদিন আগে রেলগেইট এলাকা থেকে এক মেয়ের মুখে স্প্রে করা সহ অভিনব কায়দায় এরা মানুষকে কন্ট্রোলে নেয়। তখন তারা যা বলে সেই মানুষটি তাই করে। ফলে দ্রুত এই চক্রটিকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রাজবাড়ী ডিবি পুলিশের ওসি প্রাণ বন্ধুচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনাগুলো নিয়ে তারা কাজ করছেন। আশা করছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে চক্রটি সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারবেন। তবে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখানোকারীদের থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। এবং এ ধরনের কাউকে দেখলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়