রাজবাড়ীর দোলনচাঁপা সঙ্গীতাঙ্গনের উদ্যোগে বর্ষাবরণ
- Update Time : ০৯:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
- / ১৩০ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীর দোলনচাঁপা সঙ্গীতাঙ্গনের উদ্যোগে ঋতু ভিত্তিক অনুষ্ঠানমালায় বর্ষাবরণ করা হয়েছে। গত এক বছর ধরে দোলনচাঁপা পালন করে আসছে ষষ্ঠ ঋতুর গান। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সংগঠনের সভাপতি বাবু তপন কুমার দে এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় বর্ষাবরণ। জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনের ৩০ জন কণ্ঠশিল্পী ও শিক্ষার্থীর পরিবেশনায় এক মনমুগ্ধকর সঙ্গীত অনুষ্ঠান উপহার দেন রাজবাড়ীর স্বনামধন্য ঐতিহ্যবাহী শুদ্ধ সংগীত চর্চা কেন্দ্র- দোলনচাঁপা সংগীতাঙ্গন।
বর্ষাকে প্রকৃত অর্থেই বলা হয় প্রকৃতির রাণী। চৈত্র, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠের খরতাপে যখন সমস্ত মর্ত্যের চতুর্দিকে উষ্ণতায় প্রাণ অতিষ্ঠ, ওষ্ঠাগত, ঠিক তখনই নেমে আসে গভীরতম স্বস্তি। প্রকৃতির বুকে ফিরে আসে প্রশান্তি। তাইতো তার ভোর নেই, প্রভাত নেই, মধ্যাহ্ন নেই, নেই তার অপরাহ্ণ, সাঁঝ কিংবা গভীর নিশি, অঝোর বারিধারায় কেবলই বর্ষণের ধ্বনি। খরতাপ ভেঙে এই যে রাণীর আগমনী, তার শ্লোক যেন বাজে প্রকৃতিতে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কদম ফুলের শুভেচ্ছা মুখরিত হয় মিলনায়তনের শিল্পী ও অতিথিবৃন্দ। বর্ষাকে বাংলা সাহিত্যে ও মন জাগরণে নিপুন হাতে তুলে এনেছেন রবীন্দ্রনাথ তাই কবিগুরুর “মন মোর মেঘেরও সঙ্গী” দলীয় কন্ঠে পরিবেশন করেন। বর্ষাবন্দনা এতই সমৃদ্ধ যে বাংলা সাহিত্যে এমন বর্ষাবন্দনা মেলা ভার। তাই বর্ষা উদযাপনে রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি বিদ্রোহী কবির “মেঘেরও ডমরু” দলীয় কন্ঠে দর্শকের বর্ষার আমেজকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এরপরে একে একে রিমঝিম রিমঝিম ঘন দেয়া বরষে(রাহুল), বাদল দিনের প্রথমও কদমও (কাব্য), বাদল ধারা হলো সারা বাজে বিদায় সুর (দোলা ও স্বর্না), আমার নিশীথ রাতের বাদল ধারা (তাজ্জি) সহ ৩০ জন কণ্ঠশিল্পীর কন্ঠে ধ্বনিত হয় একাধিক বর্ষার গান। দোলনচাঁপার শ্রাবণ এই সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কালচার অফিসার পার্থপ্রতিম দাস, কবি সালাম তাসির, কবি নেহাল, শিক্ষক মাহমুদা রহমান পলি সহ প্রমুখ। সপ্তদীপা শর্মীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দোলনচাঁপা সংগীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামা রানী দে। বাদ্যযন্ত্র ছিলেন তন্ময় কুমার দে, নাজমুল হাসান জিহাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দোলনচাঁপা সংগীতাঙ্গনের শিক্ষার্থী অভিভাবক সহ আরো অনেক অতিথি উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থী শিল্পীদের মধ্যে যারা গান পরিবেশন করেন তারা হলো- কাব্য, পাখি, প্রাপ্তি, সুপ্তা, ইন্দিরা, প্রত্যাশা, মানহা, ঐশ্বর্য, তনুশ্রী, সমৃদ্ধি, উষ্ণ, তিথি, দোলা, স্বর্না, প্রমা, সেতু, তাজ্জী, সূচনা, তৃপ্ত, অংশু, রাহুল, তূয্য, দিব্ব, সাহিত্য ও শারমিন সহ আরো অনেকে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়