আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কালুখালীর যুবক আনিস
- Update Time : ০৯:৫৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
- / ২৬৩ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
পূর্ব বিরোধের জের ধরে বাড়ীতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার করার অপরাধের মামলা করায় এ বাড়ী ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে যুবক আনিছুর রহমান আনিস (২৮) নামে এক যুবক। তবে বাড়ী ছাড়া হয়েও রক্ষা পাচ্ছেন না তিনি, তাকে মামলা তুলে নেবার হুমকীতে খায়েল করতে না পেরে দেয়া হচ্ছে একটার পর একটা মামলা। সর্বশেষ গত ২১ মার্চ রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দেয়া হয়েছে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা। যুবক আনিস রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের হাটমদাপুর গ্রামের আব্দুস সালাম মন্ডলের ছেলে।
যুবক আনিস বলেন, তিনি দীর্ঘ দিন সৌদি আরব ছিলেন। দুই বছর পূর্বে তিনি দেশে ফিরে আসেন। মদাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) মোঃ মজিবর রহমান মেছো তাদের প্রতিবেশি। তাদের সাথে মজিবর মেম্বারদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরে ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর বিকালে উভয় পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মজিবর মেম্বারের ছেলে টুটুল মন্ডল ও রিপন মন্ডল এবং মজিবর মেম্বারের ভাতিজা তোফাজ্জেল মন্ডল তোফা আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে ও গুলি করতে উদ্যত হয়। ফলে তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা কোন রকমনে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে প্রাণে রক্ষাপান। ওই ঘটনার পর তিনি বাদী হয়ে কালুখালী থানায় ওই তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ইতোমধ্যেই টুটুল মন্ডল ও রিপন মন্ডল এবং তোফাজ্জেল মন্ডল তোফাকে অভিযুক্ত করে রাজবাড়ীর আদালতে চার্জশীট প্রদান করেছে। আগামী ৪ এপ্রিল ওই মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ।
আনিস আরো বলেন, কালুখালী থানায় ওই মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামিরা তাকে ভীতি প্রদর্শন করছে। যে কারণে তিনি প্রাণ ভয়ে এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকছেন। তবে লুকিয়ে থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না মিথ্যা মামলা থেকে। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারী তাকে প্রধান আসামি করে রাজবাড়ীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌঃকাঃ বিধির ১০৭ ধারায় হুকমী-ধামী প্রদর্শণের একটি মামলা দায়ের করে তার মামলার ২নং আসামি রিপন মন্ডল। এরপর রাজবাড়ীর ২নং আমলী আদালতে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন, মজিবর মেম্বারের ভাতিজা কামরুল মন্ডল। ওই মামলায় ১ নং আসামি হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের নাম দেয়া হয়েছে। অথচ ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর থেকে সে প্রবাসে অবস্থান করছে। অপর দিকে, চলতি বছরের ২৩ মার্চ রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আনিসের মামলার ৩নং আসামি তোফাজ্জেল মন্ডল তোফার আপন শ্যালিকা বাদী হয়ে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা করে। এ মামলার ২নং আসামি করা হয়েছে আনিসকে। অথচ আনিস প্রাণ ভয়ে এলাকা ছাড়া। আদালত মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কালুখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
কালুখালী থানার ওসি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, যুবক আনিছুর রহমান আনিস যে মামলাটি থানায় করেছিলো তার সত্যতা পুলিশ পেয়েছে। যে কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) প্রদান করা হয়েছে। ওই মামলার পর আসামি পক্ষ আদালতে যে সমব মামলা করেছে, তা তারা এখনো পাননি। পেলে অবশ্যই নিরপেক্ষ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়