রাজবাড়ী শহরের ফোরলেন : ৬০ কোটি টাকার সড়ক দেবে যাওয়ায় জোরাতালি দিয়ে সংস্কার
![](https://rajbaribarta.com/wp-content/uploads/2023/08/icon.png)
- Update Time : ০৬:২৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৭৯ Time View
![](https://rajbaribarta.com/wp-content/uploads/2022/09/Untitled-1-copy-1024x512.jpg)
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের আধীনে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত ও উন্নতিকরণ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ। ফলে জনমনে কাজের মান নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার বলছেন, ওভার লোডের কারণে সড়কের কিছু কিছু স্থানে সমস্যা হয়েছে। যেটা নিয়ম অনুযায়ী সংস্কার করা হচ্ছে। জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী বলছেন, কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জুন মাসে। এবং বিলও প্রদান করা হয়েছে ঠিকাদারকে। তবে চুক্তি অনুয়াযী কাজ শেষের ৩ বছরের মধ্যে কোথাউ ত্রুটি দেখা দিলে নিজ দ্বায়িত্বে সংস্কার করবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
খোজ নিয়ে জানাযায়, ২০১৮ সালের শুরুতে ১৮ মাস মেয়াদী রাজবাড়ীর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত ও উন্নতিকরণ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় প্যাকেজে শ্রীপুর জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে চরবাগমারা আহমদ আলী মৃধা কলেজ পর্যন্ত ৪.১ কিলোমিটার ফোরলেন সড়কের কাজ শুরু করে ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৬০ কোটি টাকা চুক্তিমূল্যে এ প্রকল্পের কাজ নিদ্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে না পারায় কয়েক দফায় কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় চলতি বছর ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।
এদিকে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবার আগেই শহরের বড়পুল থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত সড়কের অনেকস্থানের মাঝ বরাবর দেবে সরু লাইন তৈরি হয়। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে ব্যাহত হয় যানবাহন চলাচল। যার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবার কয়েক মাসের মধ্যেই দেবে যাওয়াস্থানে কাপের্টিংয়ের মাধ্যমে সংস্কার করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
অপরদিকে যথা সময় এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ না করায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৫ লক্ষ জরিমানা করা হয়েছে। এবং প্রকল্পের অবশিষ্ট ড্রেন নির্মানের কাজ পুনরায় দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে করা হবে।
সাধারন জনগণ এসএম জাকারিয়া, আমিরুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারণে রাস্তাটির এই অবস্থা। কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তাটি নির্মান করা হয়েছে, কিন্তু টাকা কি কোটি কোটি খরচ হয়েছে? এমন অবস্থার জন্য সাধারন জনগন ভোগান্তিতে পড়ছে। কিন্তু এটা দেখভাল করবে সড়ক বিভাগ। মোটর সাইকেল নিয়ে যাবার সময় ঢেউ খেলে, মনে হয় পেছনের চাকা লিক হয়ে গেছে। আর এখন যে জোরাতালির কাজ করা হচ্ছে, তাও ঠিকবে না। ভাল প্রতিষ্ঠানের কাজ এমন না।
মোটর সাইকেল চালক ওসমান ও সোহান বলেন, সড়কের মাঝে যে অবস্থা, তাতে চলার সময় মনে হয় পানির ঢেউয়ের মতো। একবার এদিকে যায়, আবার ওইদিকে যায়। ফলে দূর্ঘটনার মত ঘটনাও ঘটছে। বড়পুল থেকে শ্রীপুর বাজার পর্যন্ত এরকম অবস্থা। নতুন রাস্তায় এখন জোরাতালির কাজ করছে।
ট্রাকের চালক হান্নান ব্যাপারী বলেন, এই রাস্তায় গাড়ি চালাতে সমস্যা হয়। চলার সময় গাড়ির যখন লিকের ওপর উঠে যায়, তখন স্টাডিং নড়াচড়া করে। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া অন্য গাড়ির সাথে লেগে যাবার সম্ভাবনা থাকে। পড়ে ওই যানবাহনের চালকরা বকাবাজি করে। কিন্তু দোষ তো রাস্তার, তার না।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাশনের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাগর বলেন, ভারী যানবাহন চলার কারণে সড়কের কিছুস্থানে সমস্যা হয়েছে। এবং সেই স্থান গুলো সংস্কার করা হচ্ছে। সমস্যা হলে তিন বছর পর্যন্ত সংস্কার করবেন। এই সড়কটি প্রায় দুই বছর আগে করা হয়েছে। তখন হস্তান্তর করলে, এখন ৩ বছর শেষ হয়ে যেতো।
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নওয়াজিস রহমান বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হবার পর ৩ বছরের মধ্যে কোথাউ প্রাকৃতিক কারণ ছাড়া ত্রুটি দেখা দিলে চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সংস্কার করবে। ফলে শহরের কাজের ত্রুটি অংশের বিষয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হয়েছে। এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেটি সংস্কার করছে।
তিনি আরও বলেন, কি কারণে সড়কে সমস্যা হয়েছে, সে বিষয়টি টেস্ট করা দেখা হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়