গোয়ালন্দে হালখাতায় ব্যবসায়ীদের গরু উপহার : প্রশংসা কুড়োলেন আড়ৎদার
- Update Time : ০৯:১৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
- / ১২১ Time View
শামীম শেখ, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে হালখাতায় ব্যাবসায়ীদের মধ্যে দুইটি গরুসহ আর্কষণীয় বিভিন্ন পুরস্কার দিয়ে আলোড়ন তুলেছেন মাছের আড়ৎদার বাদল বিশ্বাস।
জানা গেছে, পহেলা বৈশাখের আগের দিন চৈত্র সংক্রান্তির সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ বাজারস্হ্য বাদল বিশ্বাস তার মাছের আড়তে বিগত বছরগুলোর ন্যায় পাইকারী ব্যবসায়ীদরে নিয়ে কুপনের মাধ্যমে লটারি পরিচালনা ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করেন।
এতে লটারি বিজয়ী একজন এবং সারা বছর ভালো লেনদেন করেছেন এমন আরেকজন ব্যাবসায়ীর হাতে একটি সহ মোট দুইটি বাছুর গরু উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয়। এছাড়া লটারিতে অংশগ্রহনকারী ৪১ জন পাইকারি ব্যাবসায়ীর প্রত্যেকের হাতে তুলে দেয়া হয় আকর্ষনীয় বিভিন্ন পুরস্কার। এ বছর ভালো লেনদেনের জন্য নিজাম শেখ একটি এবং লটারি জিতে শ্যামল বিশ্বাস নামের অপর এক ব্যাবসায়ী পান অপর গরুটি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন কবির পলাশ, গোয়ালন্দ বাজার ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি মোঃ সিদ্দিক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক খোকন শেখ,গোয়ালন্দ প্রসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল হক রায়হান প্রমূখ।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি মোঃ সিদ্দিক মিয়া বলেন, হালখাতা বকেয়া টাকা উঠানোর জন্য আমাদের একটা অতি পুরোনো রেওয়াজ। এতে অধিকাংশ আড়ৎদার বা মহাজন শুধুমাত্র নিজেদের বকেয়া টাকা উঠানোর দিকেই মনোযোগী হয়ে থাকেন। কিন্তু বাদল বিশ্বাস তার বকেয়া টাকা উত্তোলনের পাশাপাশি অন্তত দুইজন ব্যাবসায়ীকে স্বাবলম্বী করার দিকে মনোযোগী হয়েছেন। এটা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
এ বিষয়ে আঃ হালিম শেখ, শামসু শেখ,শাহিন শেখ সহ কয়েকজন পাইকারি ব্যাবসায়ী বলেন, তাদের অধিকাংশ ব্যাবসায়ীর নগদ ভালো পুঁজি নেই। প্রতিবছর দুটো করে বাছুর গরু লালনপালন করে তাদের অন্তত দুইজন ব্যাবসায়ী এককালীন একটা বড় পুঁজি গড়ে তুলতে পারছেন। ব্যাবসার আয় দিয়ে আসলে এটা করা তাদের পক্ষে খুবই কষ্টকর। এই উদ্যোগ তাদেরকে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করছে।
আড়ৎদার বাদল বিশ্বাস বলেন, ব্যাবসা করে আমার নিজের ভালো থাকাটা যেমন গুরুত্বর্পূণ, তেমনি আমার পাইকারদেরকে ভালো থাকতে সাহায্য করাও আমার দায়িত্ব। বিগত ১০ বছর ধরে তিনি এটা করছেন। এর মাধ্যমে তিনি এবং তার ব্যাবসায়ীরা উভয়েই ভালো আছেন।
তিনি আরো জানান,ইতিপূর্বে তার দুইজন ব্যাবসায়ী এখান থেকে গরু পেয়ে তা লালন পালনের মাধ্যমে বর্তমানে ৪/৫ টি গরুর মালিক হয়েছেন।বাড়িতে গড়ে তুলেছেন গরুর ছোটখাটো খামার। অনেকে গরু বড় করে বিক্রির মাধ্যমে ভালো পুঁজির মালিক হয়েছেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়