গোয়ালন্দে ইয়াবা অসহায় নারী চা বিক্রেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা, ভিডিও ফুটেজে রক্ষা

- Update Time : ০৭:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩
- / ৩০৫ Time View

শামীম শেখ, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় মাদক সেবী ও পুলিশের কথিত সোর্সদের চক্রান্তে ফেঁসে যাচ্ছিলেন এক অসহায় চা বিক্রেতা নারী (৩৫)। তবে পাশের এক দোকানে স্হাপিত সিসিটিভিতে ধারন করা ভিডিও ফুটেজে তার কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকায় পুলিশ তাকে সসম্মানে ছেড়ে ছিয়েছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) সকাল সারে ১০ টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ চক্রান্তকারীদের খুঁজছে। পুলিশ ও স্হানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া বাজারের নুরু চেয়ারম্যান গলির সড়কের পাশে দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর ধরে চা বিক্রি করেন ওই নারী। দীর্ঘদিন স্বামীর সাথে সম্পর্ক না থাকলেও সংগ্রামী ওই নারীর এলাকায় যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। চা বিক্রির আয় দিয়ে তিনি ভাড়া বাসায় থেকে দুইটি মেয়েকে লেখাপড়া করান। ইতিমধ্যে বড় মেয়েটিকে বিয়েও দেন।
শনিবার সকাল সারে ১০ টার দিকে তার দোকানে চা খেতে আসে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মোঃ আঃ রব (৪০), মোঃ জুয়েল শিকদার (৩০) ও অজ্ঞাত আরো একজন। তারা এ এলাকায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করে। স্হানীয়রা তাদেরকে হেরোইনচি (হেরোইনসেবী) এবং পুলিশের সোর্স বলে চেনেন। এ সময় চা বিক্রেতা মহিলা পাশ্ববর্তী আলমগীর হোসেনের দোকানে চা-বিস্কুট দিতে গেলে চক্রান্তকারীরা কৌশলে তার দোকানের একটি কৌটায় ৪০/৪২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে দিয়ে নিজেরাই থানা পুলিশে খবর দেয়। কয়েক মিনিট পর সেখানে পুলিশ আসলে তারাই ইয়াবাগুলো দেখিয়ে দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।
এদিকে এ ঘটনাটি দ্রুত জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বাজারের সাধারন ব্যাবসায়ী থেকে স্হানীয় বাসিন্দারা ওই মহিলার সপক্ষে কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে স্হানীয় বাসিন্দা ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী মটর চালক লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, ওই মহিলা অত্যন্ত সৎ ও ভদ্র। এলাকায় তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের খারাপ কোন রেকর্ড নেই। আমাদের জানা মতে,মাদক ব্যাবসার মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তিনি কোনভাবেই জড়িত নন। তাকে কেউ ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। ভিডিও ফুটেজে তার স্পষ্ট প্রমান পাওয়া গেছে। বিকেল ৫ টার দিকে থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওই মহিলা বলেন, ওই হেরোইনচিরা নিয়মিতই তার দোকানে চা খায়। কিন্তু তারা কেন আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করলো তাও বুঝতে পারছি না। তিনি কোনদিনই কোনভাবে মাদকের সাথে জড়িত নন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ভিডিও ফুটেজ যাচাই, এলাকার লোকজনের সুপারিশ এবং উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ওই মহিলাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশে খবর দেয়া লোকগুলো পালিয়ে গেছে। তাদের সহ ঘটনার পেছনে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও খোঁজা হচ্ছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়