শরীকের সম্পত্তি জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ
- Update Time : ১০:৫২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৩৭৫ Time View
লিটন চক্রবর্তী, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলী কর্তৃক কাশেম বিশ্বাস নামে একজনের মৃত্যু সনদ এবং ওয়ারিশ সনদ না দেবার অভিযোগ উঠেছে। ফলে এই সুযোগে মৃত কাশেম বিশ্বাসের মেয়ে রুনা লায়লা জাল দলিলের মাধ্যমে পিতার সম্পত্তিসহ শরিকের সম্পত্তি হাতিয়ে নেবার চেষ্টা করছে। মৃত্যু সনদ ও ওয়ারেশ সনদ চেয়ারম্যান কর্তৃক না দেবার বিষয়টি জানিয়ে ভুক্তভোগিরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছে না।
বিভিন্ন অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারী ২০২০ তারিখে কাশেম বিশ্বাস মৃত্যবরণ করলে তার জমিজমার ওয়ারেশ হন স্ত্রী রেখা বেগম, এক মেয়ে রুনা লায়লা এবং তিন ভাই মাছিম বিশ্বাস, ছুরাপ বিশ্বাস, মৃত ফজলুল হক গত ১৮ আগস্ট ২০২০ মারা গেলে তার স্ত্রী বেবি খাতুন, দুই মেয়ে লাভলী খাতুন, সালমা খাতুন এবং ছেলে ইমন। কাশেম বিশ্বাসের জমিজমা শরিকদের মধ্যে বন্ঠন ও রেকর্ড সংশোধনের জন্য ছুরাপ বিশ্বাসের ছেলে জাকির হোসেন সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলীর কাছে চাচা কাশেম বিশ্বাসের মৃত্যু সনদ ও ওয়ারেশ সনদের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান কাশেম বিশ্বাসের মৃত্যু সদন ও ওয়ারেশ সনদ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাশে অভিযোগও করেন জাকির হোসেন। এরপরও শহিদুল ইসলাম আলী কাশেম বিশ্বাসের মৃত্যু সনদ ও ওয়ারেশ সনদ দেয়নি। এই সুযোগে কাশেম বিশ্বাসের মেয়ে রুনা লায়লা তার অংশসহ একটি জাল দলিল তৈরি করে সব জমি নিজের বলে দাবি করেন। পরে সাওরাইল ভূমি অফিসে দলিল দিয়ে নাম জারির আবেদন করেন। দলিল রেজিস্ট্রিরি তারিখ দেয়া হয় ১০,৪, ১৯৯৮। তবে ভূমি কর্মকর্তা দলিলটি দেখে সন্দেহ হলে রেজিস্ট্রি তারিখ পুরানো ক্যালেন্ডার দেখে দেখেন ১০.৪.১৯৯৮ সালের তারিখটি ছিল শুক্রবার। আর শুক্রবারে কোন দলিল রেজিস্ট্রি হয়না। ফলে রুনা লায়লার দলিটি দিয়ে নাম জারি করতে পারে না।
বিষয়টি নিয়ে রুনা লায়লাকে ফোন করলে তিনি জানান, আমার বাবা আমার নামে দলিল করে দিয়েছে। আমি শরিকের জমি ফাকি দেয়নি। বরং আমার চাচাতো ভায়েরা আমার সাথে নানা হয়রানি করছে। জমি আপনার বাবা দিলে দলিল জাল কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন দলিল জাল না। এটা আমার চাচাতো ভায়ের প্রচারনা।
সাওরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম আলীর কাছে কাশেম বিশ্বাসের মৃত্যু সনদ ও ওয়ারেশ সনদ না দেবার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাশেম বিশ্বাসের মেয়ে রুনা লায়লা তিনি ছাড়া কাউকে তার বাবার মৃত্যু সনদ ও ওয়ারেশ সনদ দিতে নিষেধ করেছে তাই দেয়নি। একজনের নিষেধে আপনি সনদ প্রদান বন্ধ করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার গ্রামের ব্যাপার আমি অবশ্যই পারি।
কাশেম বিশ্বাসের ভায়ের ছেলে জাকির হোসেন বলেন, আমার দাদা বেঁচে থাকার সময় আমাদের যৌথ পরিবারে অনেক জমি আমার চাচার নামে রাখা ছিল। তার মৃত্যুর পর জমির সঠিক বন্ঠন হওয়া দরকার। কিন্তু চেয়ারম্যান মৃত্যু সনদ ও ওয়ারেশ সনদ না দেবার কারনে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। একই সাথে চাচাতো বোন রুনা লায়লা জাল দলিল করে সব সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়