রাজবাড়ীতে গরুর বাজার দর নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া : কমেছে গরু-ছাগল বিক্রি
- Update Time : ১০:৫১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
- / ১৩৯ Time View
ইমরান হোসেন মনিম, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে রাজবাড়ীতে এবছর ৫৬ হাজার গরু মোটাতাজা করন করা হয়েছে। যা চাহিদার চাইতেও ৮ হাজার গরু বেশি রয়েছে।বাজারে গরুর দাম বেশির কারনে বৃক্রি কমেছে।ব্যবসায়ীরা বলছেন গরু মোটাতাজা করনে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারনে খরচ হয়েছে বেশি হওয়ায় খরচ অনুযায়ী দাম কম বলছেন কৃরতারা।এতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বাজারে গীয়ে দেখা যায় ক্রেতারা বাজারে এসে গরু যাচাই বাছাই করছেন কিন্তু দাম বলছেন না। প্রতিটি গরুতে এবছর ১০/১৫ হাজার টাকা করে বেশি দাম চাচ্ছেন গরু ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা বলছেন গত বছরের চাইতে এ বছর প্রতিটি গরুতে ১০/১৫ হাজার টাকা বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে।আর ব্যবসায়ীরা বলছেন,এবছর গো খাদ্যের উপকরনের বাজার দর অত্যাধিক বেশি হওয়ায় গরু মেটাতাজা ও লালন পালনে খরচ বেশি কয়েছে। বড় গরুর ক্রেতাদের চাইতে ছোট ছোট গরুর ক্রেতা বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
একটি গরু পালনে যে টাকা খরচ হয়েছে ক্রেতারা তার চাইতেও দাম কম বলছে।এ কারনে বাজার দরে হেরফের হওয়ায় গরু বেচাকেনা কম হচ্ছে।যেখানে একটি গরু লালন পালন করতে পৌনে দুই লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে সেখানে গরুর দাম বলছে দের লক্ষ টাকা।একই অবস্থা দেখা গেছে ছাগলের বাজারেও।ক্রেতারা এক মণ ওজনের খাসি দাম করছেন ২৫/২৬ হাজার টাকা।যেখানে খাসির লালন পালন খরচ আরো বেশি হয়েছে।
ক্রেতারা বলেন,গত বছরের চাইতে এবছর প্রতিটি গরুতে ১০/২৫ হাজার টাকা বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে।এ কারনে তারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন,কিন্তু গরু কিনছেন না।সামনে আরো বাজার রয়েছে সে বাজার দেখে তারা গরু কিনবেন বলে জানান।বাজারে গরু কিনতে আসা ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন,যে গরু গত বছর ১ লক্ষ টাকায় তারা কিনতে পারছেন সে ধরনের এবছর ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।দাম বেশির কারনে তিনি বাজার ঘুরে দেখছেন।
গরু ব্যাসায়ীরা বলেন,গো খাদ্যের বাজার দর অত্যাধিক রকম বেড়ে যাওয়ায় গরু মোটাতাজা করতে গত বছরের চাইতে এ বছর তাদের খরচ বেশি হয়েছে।আর খরচের অনুযায়ী ক্রেতার দাম বলছে অনেক কম।যে কারনে তাদের লোকসানের আশঙ্কায় বেচা কেনা কম হচ্ছে।গরু ব্যবসায়ী নিজাম জানান,তিনি রাজবাড়ীর এ বাজারে ২০ মণ ওজনের একটি গরু এনেছেন।তার এ পর্যন্ত গরু লালন পালনে পাৃচ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়েছে।কিন্তু বাজারে ক্রেতারা তার এ ৮০০ কজি ওজনের গরুর দাম বলছেন সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।বড় গরুর চাইতে ছোট গরুর চাহিা বেশি থাকায় বড় আকারের গরু কিনতে ক্রতাদের আগ্রহ কম।তার মত আরে এক ব্যাবসায়ী মো. আইয়ুব আলী মন্ডল বলেন,তিনি যে গরুটি বাজারে এনেছেন এটি তিনি ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকায় কেনার পরে এক বছরে আরো সত্তর হাজার টাকা সহ মোট ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।অথচ ক্রেতারা গরুর দাম বলছেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এতে গরু বিক্রি করতে এনে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
রাজবাড়ী গরুর হাট ইজারাদার মো. ফরিদ হোসেন বলেন,গরুর বাজার দর বেশি হওয়ায় বেচা কেনা কম হচ্ছে।যে কারনে গরু ক্রয়ের হাসিল কমিয়েছেন।তার পরও গরু বিক্রি হচ্ছেনা হাটে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়