রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ডাক্তারকে মারপিটের ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

- Update Time : ০৫:০৪:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩
- / ২২৭ Time View

রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ার হোসেনকে মারপিট করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের তত্বাবধায়কসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের মধ্যে আতংক বিরুজ করছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে মারপিটের স্বীকার ডাঃ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৩জনকে আসামি করে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলো, জেলা শহরের ৩নং বেড়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত ছালেক মোল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৪) , মেহেদী হাসান কবিরের ছেলে মেহেদী আসাদুজ্জামান অভি (৩০) এবং মৃত হোসেন মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা (৩৪)।
মারপিটের স্বীকার ডাঃ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গায়ে চাকা চাকা, ব্যাথাসহ এলার্জি সমস্যা নিয়ে গত বুধবার রাত ১২টার দিকে জেলা শহরের ৩নং বেড়াডাঙ্গা গ্রামের যুবক ইমন। সে সময় তিনি ডাঃ আনোয়ার হোসেন জরুরী বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। এরপর তার শাররীক অবস্থার উন্নতিও করে। তবে ভোর ৩টার দিকে ইমন বাথরুমে যান এবং সেখানে স্টোক করেন। ওই অবস্থায় তাকে ডাকা হয়। তিনি রোগির কাছে গিয়ে অবস্থা দেখে দ্রুত ইসিজি করান এবং দেখতে পান রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এখানে তার বা সহকর্মীদের কোন অবহেলা ছিলো না এবং রোগির স্বজনরাও কোন অভিযোগ করেন নি।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মরদেহ নিয়ে যাবার সময় হঠাৎ করেই মৃত ইমনের বন্ধু জীবন ও পলাশ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের প্রবেশ করে। তারা ওই সময় তাকে (ডাঃ আনোয়ার হোসেন) মুখ থেকে মাস্ক সরাতে বলে। তিনি না সরালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট করে চলে যায়। যে ঘটনা হাসপাতালের সিসি টিভির ফুটেজে ধারন রয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা আতংকের মধ্যে রয়েছে। তারা নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছেন।
হাসপাতালের তত্তবধায়ক ডাঃ আব্দুল হান্নান জানান, ওই ঘটনার পর তিনি নিজেও আতংকগ্রস্থ। রোগির চিকিৎসা ক্ষেত্রে জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের কোন অবহেলা ছিলোনা এবং রোগির স্বজনদেরও কোন অভিযোগ নেই। অথচ বহিরাগতরা কোন কিছু না জেনেই ডাঃ আনোয়ার হোসেনকে মারপিট করেছে। এটা অত্যান্ত দুঃখ জনক। তিনি এঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর পরই থানা পুলিশের সদস্যরা হাসপাতালে আসেন। তারা আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। যদিও এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে বসতে চেয়েছেন। সন্তোষ জনক বিচার না পেলে তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী থানার এসআই কামরুজ্জামান সিকদার জানিয়েছেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়