সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাজবাড়ীর এমপি কাজী কেরামত আলীর শোক
- Update Time : ০১:২৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৪১ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
মহান জাতীয় সংসদের উপনেতা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, অগ্নিকন্যা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার মৃত্যুতে সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ এমপি কাজী কেরামত আলী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একই সাথে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি গত রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার একান্ত সহকারী সচিব মোঃ শফি উদ্দীন।
জানাগেছে, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলাতে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন।
শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী। ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন।
সাজেদা চৌধুরী ১৯৭৪ সালে গ্রামীণ উন্নয়ন ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো ফেলোশিপপ্রাপ্ত হন এবং একই সময়ে বাংলাদেশ গার্ল-গাইড এসোসিয়েশনের জাতীয় কমিশনার হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মানসূচক সনদ সিলভার এলিফ্যান্ট পদক লাভ করেন। তিনি ২০০০ সালে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক ওমেন অব দি ইয়ার নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
রাজনৈতিক জীবন
১৯৫৬ সাল থেকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯–১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়কের দায়িত্বও তিনি পালন করছেন।
তিনি ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এ আসন থেকে তিনি কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত হন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়