গরু হাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ, সর্বনিম্ন দারদাতাকে হাট দিলো গোয়ালন্দ পৌরসভা
- Update Time : ০৩:২৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
- / ১৯১ Time View
লিটন চক্রবর্তী, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ গরু হাট ইজারায় অনিয়মের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতাকে হাট ইজারা দিয়েছে পৌরসভা এমন অভিযোগে তদন্ত করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। কাংখিত মূল্যের চেয়েও কম মূল্যে অনিয়মের মাধ্যমে এভাবে হাট ইজারা দেওয়ায় সর্বচ্চ দরদাতা অভিযোগ করেছে বিভাগীয় কমিশনারে কাছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রয়ারী ১৪৩০ সনের জন্য গোয়ালন্দ গরুর হাট ইজারার জন্য দরপত্র আহব্বান করে গোয়ালন্দ পৌরসভা।
দরপত্রে গরুর হাটের সরকারি কাঙ্খিত মূল্য দেয়া হয় ২৭ লক্ষ ৪ হাজার টাকা। গরুর হাট ইজারার জন্য মোট তিনটি দরপত্র জমা পড়ে। তিনটি দরপত্রের মধ্যে মন্ডল এন্টার ট্রেডার্স সর্বচ্চ দরদাতা ডাকমূল্য ২৯ লক্ষ টাকা, মৌ এন্টার প্রাইজ ২৭ লক্ষ ১৫ হাজার ৩শ ৭৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন দরদাতা জাকির হোসেন ২৬ লক্ষ এক হাজার টাকা হিসেবে দরপত্র জমা দেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সর্বচ্চ দরদাতা মন্ডল ট্রেডার্স ডাক মূল্য ২৯ লক্ষ্য এবং আয়কর ও ভ্যাট ৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা সর্বমোট ৩৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে মেয়রের অনুকুলে জমাও করেন।
কিন্তু পৌরসভা সর্বচ্চ দরদাতাকে হাট ইজারা না দিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা জাকির হোসেনকে গরুর হাট ইজারা প্রদান করেন। জাকির হোসেন কাঙ্খিত সরকারি মূল্যের চেয়ে ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকা কমে দরপত্র জমা দেন।
কাঙ্খিত মূল্য না পেলে পূনরায় দরপত্র আহব্বান করার কথা নীতি মালা অনুযায়ী।
বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা মন্ডল এন্টার ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধীকারি নাসিম মাহমুদ ইভান জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। গত ১৫ মে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারি কমিশনার আতিকুল ইসলাম রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকে একটি পত্র দেন। পত্রটিতে উল্লেখ করা হয় শর্তাবলি লংঘন করে সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা প্রদান করা হয়নি বলে কার্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে অবহিত করার জন্য বলা হল।
বিষয়টি জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বিষয়টি আমরা জানি। বর্তমানে তদন্ত চলছে। এর বেশি কিছু এখন বলা যাবে না।
এবিষয়ে গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মোঃ নজরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, সর্বোচ্চ দরদাতা এবং তার পরের জন নিয়ম অনুযায়ী টাকা জমা ও দরপত্র জমা দেয় নাই। এজন্য আমরা পৌরপরিষদ সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জাকির হোসেনকে ইজারা দিয়েছি।
সরকারি কাঙ্খিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে কেন দিলেন আর পূনরায় কেন দরপত্র আহব্বান করলেন না এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন,
চারদিকে হাট আর স্থান কমে যাবার কারনে আমাদের গরুর হাট ছোট হয়ে আসছে। আমরা এই হাটটি টিকিয়ে রাখার জন্য পরিষদের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ইজারা দেয়া হয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়