রাজবাড়ী রেল ষ্টেশন থেকে ভারতের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে স্পেশাল ট্রেন
- Update Time : ১০:২৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৩৬ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ী রেল ষ্টেশন থেকে ট্রেনের ২৪টি কোচে (বগি) পাসপোর্টধারী ২ হাজার ১ শত ৫২ জন ওরশ যাত্রী ভারতের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে গেছে ওরশ স্পেশাল ট্রেন। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) রাত ১০টা ১১ মিনিটে ১২২তম পবিত্র ওরশ শরীফ উপলক্ষে ভারতের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর উদ্যোগে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে।
সে সময় ট্রেন যাত্রীদের বিদায় জানান, সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী। উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান, পৌর মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ জেলা প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা। ওই সময় দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এদিকে, ২৪টি কোচের বিশাল ট্রেনটি রাজবাড়ী রেলষ্টেশনে প্রায় সারাদিন অবস্থান করে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে সাজানো হয় ইঞ্জিনসহ ট্রেনটির সকল বগি। ট্রেনটি দেখতে এবং যাত্রীদের বিদায় জানাতে হাজারো মানুষের আগমন ঘটে।
রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আজিজ কাদেরী খোকন জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে নূরনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) -এর ৩২ তম ও বড় পীর গাউস-উল-আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (আ:) এর ১৯তম অধস্তন পবিত্র বংশধর আলী আব্দুল কাদের সামশুল কাদের হযরত সৈয়দ শাহ মোর্শেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী আল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম ‘মওলাপাক’ এর ১২২তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরীফ আগামী (শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। ওরশ শরীফ উপলক্ষে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার উদ্যোগে ২৪টি বগি নিয়ে একটি স্পেশাল ট্রেন মঙ্গলবার রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে। ওরশ স্পেশাল ট্রেনে ১ হাজার ২৪৫ জন পুরুষ, ৮৩২ জন মহিলা, ৭৫ জন শিশুসহ মোট ২ হাজার ১৫২ জন ওরশ যাত্রী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে গেছে। পবিত্র ওরশ শরীফ শেষে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি রাজবাড়ী ফিরে আসবে।
জানাগেছে, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। তবে করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে ওরশ স্পেশাল ট্রেন যায়নি। ভারতের মেদিনীপুরের সাথে মিল রেখে রাজবাড়ীর বড় মসজিদে নানা আনুষ্ঠানিকতা হয়।
