রাজবাড়ীর কৃষি কর্মকর্তা মতিয়ারের বিরুদ্ধে ডিলারদের ঘুষ বাণিজ্য ও ক্ষমতার দাপটের অভিযোগ

- Update Time : ০৮:০৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১৫৯ Time View

ইমরান হোসেন মনিম, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ী সদর উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য ও ক্ষমতার দাপট দেখানোর অভিযোগে রাজবাড়ী কৃষি অধিদপ্তর সহ সাতটি দপ্তরে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।
১০ জন সার ও কীটনাশক ডিলারগন তাদের কাছ থেকে অসদুপায়ে নতুন লইসেন্স নিবন্ধন ও নবায়ন করতে আর্থিক লেনদেের অভিযোগ আনেন।তাদের অভিযোগ একজন কৃষক একটি কীটনাশক বিক্রির মূসক সহ হোলসেল নতুন লাইসেন্স নিবন্ধন করতে যেখানে ১০০০ টাকা এবং নবায়ন করতে মূসক সহ থেকে ৫০০ টাকা লাগে,সেখানে এ কৃষি কর্মকর্তা প্রতিটি লাইসেন্স বাবদ ৪,০০০ থেকে ৬,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন।ডিলাররা অভিযোগ করলে সদর কৃষি অফিসের কোন সম্প্রসারন কর্মকর্তা কোন প্রতিকার করেনন।এই কর্মকর্তা প্রতি ডিলারের কাছ থেকে মাসিক হিসেবেও অর্থ মাসোহারা গ্রহন করেন।সার ও কীটনাশক বিক্রির রিটেইল ফি বাবদও নগদ ৩০০০ করে টাকা নেন এই মতিয়ার। সারের ডিলারদের মজুদ ও বিক্রয় অনুমতি কৃষি অফিসার বা সম্প্রসারন অফিসার দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজেই বে-আইনী ভাবে অনুমতি দিয়ে সাক্ষর করেন। এছাড়া প্রকল্পের অর্থ ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারের ঋনের টাকা আত্মসাত করে আসছেন দীর্ঘদীন ধরে। টাকা না দিলে ডিলারদের ভয়ভীতিও দেখানোর অভিযোগও করা হয় তাদের ব্যবসা চালানের ক্ষেত্রে।
কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মো.মতিউর রহমানের এ অনিয়ম, দূর্নিতী ক্ষমতার দাপটের কারনে তাদের ব্যবসা বানিজ্য ক্ষতির মুখে পরছে তাই তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান ডিলাররা। অভিযোগ দেন কৃষি রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক,মহাপরিচালক কৃষি সম্অপ্তিরসার অধিদপ্তর খামারবাড়ী ঢাকা,অতিক্ত পরিচালক ফরিদপুর,রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ ৭ টি দপ্তরে অভিযোগ দেন।১.ডিলার মো. আলাউদ্দিন হোসেন,প্রশান্ত কুমার,মো. জাহিদ হোসেন,মো. খবির উদ্দিন মোল্লা,সুশান্ত কুমার দত্ত,মোজাহার হোসেন,মো. আ. আজিজ মিয়া,মো. ইয়াছিন মন্ডল,মোহাম্মদ আলী সহ ১০ জন ডিলার তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
মেসার্স৷ আরাফাত কৃষি ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী ডিলার মো.আলাউদ্দিন হোসেন জানান,তাদের কাছ থেকে নতুন ও নবায়ন লাইসেন্স বাবদ বিভিন্ন অংকে সরকারী ধার্য ব্যাতিত মোটা ঘুষ নিয়ে থাকেন।মাসিক, রিটেইল ও হোলসেল লাইসেন্স বাবদও টাকা বেশি টাকা নেনে।বিভিন্ন সময় বাজে ব্যবহারও করেন আমাদের সাথে তিনি।
অভিযুক্ত রাজবাড়ী সদর উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে যে ঘুষ লেনদেন বা অনিয়মের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ফলস বলে দাবী করেন।এ অভিযোগের ব্যাপারে কিছুই জানেননা তিনি।
ডিলারদের অভিযোগের এ বিষয়ে রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ- পরিচাক সহীদ নুর আকবরের কাছে জানতে চাইলে,তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি।এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়