হঠাৎ কালুখালী হাসপাতাল পরিদর্শনে এমপি জিল্লুল হাকিম, পেলেন না ডাক্তার-কর্মচারীদের দেখা !

- Update Time : ১১:০৭:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
- / ২০০ Time View

সোহেল রানা, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হঠাৎ করেই রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় পরিদর্শনে যান। গিয়ে দেখতে পান হাসপাতালে ঝুঁলছে তালা। কোন চিকিৎসক কর্মচারী নেই। শুধু মাত্র ২জন নার্স দায়িত্ব পালন করছেন। হাসপাতালের পরিবেশ নোংরা, আবর্জনা আর বাথরুমে যাওয়ার মতো কোন পরিবেশ নেই। একটি ভূতুরে পরিবেশ। এ ভাবে প্রায় এক ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর লোকজনের মাধ্যমে খবর দিয়ে ডেকে আনা হয় চিকিৎসক-কর্মচারীদের।
পরিদর্শনকালে রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমের সহ-ধর্মিনী সাহিদা হাকিম,কালুখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ সদস্য গোবিন্দ কুন্ডু, পাংশা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ^াস, রতনদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসিনা পারভীন নিলুফা, নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জনপ্রতিনিধি ও কয়েকজন সংবাদকর্মী বলেন, হঠাৎ করেই রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় পরিদর্শনে যান। হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পারেন গেইটে তালা ঝুঁলছে। প্রতিটি কক্ষে তালা মেরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাড়ীতে চলে গেছেন। প্রায় এক ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর দ্রুত ছুটে আসেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। পরে তিনি সকলকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করে বিকাল ৫টার দিকে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারজানা ইসলাম বলেন, ৩টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাসায় যাই। কিছু সময় পরে এমপি আসার খবর পেয়ে ছুটে যাই। হাসপাতালে কোন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। একজন মাষ্টারোলের কর্মচারী দিয়ে কাজ করা হয়। তারা সর্বাত্বক ভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। তবে কেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নেই এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি।
হঠাৎ করেই রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, কালুখালী হাসপাতালে কোন রোগী আসলে তাদেরকে চিকিৎসা সেবা প্রদান না করেই রিফার্ড করা হয়। হাসপাতাল নোংরা, বাথরুম ব্যবহার অনুয়োপযোগী, দায়িত্ব পালন করে না চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। এ ধরণের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় পরিদর্শনে আসি। এসে দেখি হাসপাতালে ২জন নার্স ছাড়া আর কেউ নেই। নোংরা পরিবেশ রয়েছে। পরে তাদের সাথে বসে কথা বলেছি, তারা অঙ্গিকার করেছেন ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযোগ পেলে ও দায়িত্ব পালন করতে না দেখলে যা শাস্তি হবে তা মাথা পেতে নেবেন। তাদেরকে প্রথমবার ক্ষমা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এভাবে আবারও পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য সেবার মান যাচাই করা হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়