৪ মাসের শিশুর হার্টে ফুটো, টাকার অভাবে ভর্তি করতে পারছে না হাসপাতালে
- Update Time : ০৭:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
- / ২৭৪ Time View
রুবেলুর রহমান, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
হার্ট ফুটো ৪ মাস বয়সী শিশু তাশরিফকে বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছেন তার অসহায় মা ফারজানা। বর্তমানে অর্থাভাবে ফুটফুটে এই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পারছে না তার পরিবার। তাশরিফ রাজবাড়ী পৌর ভবানীপুরের ফারহান ও ফারজানা দম্পতির ছেলে। শিশুটির বাবা প্রবাসে থাকলেও রয়েছেন কর্মসংকটে।
এদিকে তাশরিফের চিকিৎসায় বহু টাকার প্রয়োজন থাকলেও বর্তমানে ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি ও চিকিৎসায় প্রয়োজন প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অসুস্থ শিশুটির মা। এবং কয়েকদিনের মধ্যে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এই মুহুর্তে পরিবারটির পক্ষে এতো টাকা জোগার করা সম্ভব না। তাই শিশু তাশরিফকে বাঁচাতে সমাজের বিত্ত ও হৃদয়বানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন পরিবারটি।
শিশু তাশরিকের পরিবার সুত্রে জানাগেছে, দরিদ্র পরিবারের সন্তান তাশরিক। দুই ভাই বোনের মধ্যে সে ছোট। পরিবারে উপার্যনক্ষম তার বাবা প্রায় এক মাস হলে গিয়েছে ডুবাইতে। কিন্তু পান নাই কোন কাজ। এদিকে জন্মের পর থেকে তাশরিফকে অসুস্থ্য মনে হয়। যার কারণে গত মাসের শেষের দিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রায় দুই সপ্তাহ ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু শারিরিক কোন উন্নতি না হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৪ দিন চিকিৎসার মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় শিশুটির হার্ট ফুটো ধরা পড়ে। তখন চিকিৎসক ৫ দিনের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশনে নেবার পরামর্শ দেন। কিন্তু টাকার অভাবে তাশরিফকে হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করতে পারছে না পরিবারটি।
শিশু তাশরিফকে সহযোগিতার জন্য বিকাশ (পার্সনাল) তাশরিফের মা (০১৪০৭২৩২১২০) এবং ব্যাংক হিসাব নং- ১৬৩২১০১১১৪১২৩ রিনা খাতুন (নানী) (পূবালী ব্যাংক রাজবাড়ী শাখা)।
অসুস্থ্য শিশু তাশরিফের মা ফারজানা বলেন, পরিবারে আমার স্বামী ছারা আর উপার্যনক্ষম কেউ নাই। কিন্তু তার সাথে একটু পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। তারওপর সে মাত্র এক মাস হলে দেশের বাইরে গিয়েছে। এখনও কাজ কর্ম পায় নাই। ছেলের অসুস্থ্যর কথা শুনে সেও টাকা দেবার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না। ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলো, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর মিলিয়ে শেষ খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। ফরিদপুর থেকে চিকিৎসকরা ৫ দিনের মধ্যে হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করতে বলেছে, কিন্তু টাকার অভাবে কোলের শিশুটিকে ভর্তি করতে পারছি না। চোখের সামনে ধীরে ধীরে ছেলেটি আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় সবার সহযোগিতা প্রায়োজন। হাসপাতালের ভর্তি ও প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসার জন্য প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এতো টাকা এখন কোথায় পাবো।
তিনি আরও বলেন, আমার শিশুকে আপনারা বাঁচান। একটু সহযোগিতা করুন।
