যাত্রীদের চাপে দৌলতদিয়া -পাটুরিয়া নৌরুটে চালু হলো সবগুলো ফেরি –
- Update Time : ০৭:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
- / ১৬ Time View
শামীম শেখ,রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রবিবার থেকে রপ্তানি মুখি শিল্প তথা পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে শনিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় সৃষ্টি হয়েছে।
পাটুরিয়া ঘাট থেকে কোন ফেরি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসা মাত্রই তাতে উঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে অসংখ্য মানুষ। এ সময় ফেরিতে আসা যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে নিচে নামাই দুষ্কর পড়ছিল। ফেরি ও ঘাট সংশ্লিষ্টদের ধারনা দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি রোরো (বড়) ফেরি অন্তত ৩ থেকে সারে ৩ হাজার যাত্রী বহন করছে।যাত্রীদের চাপে দু’একটি এ্যাম্বুলেন্স,কিছু ব্যাক্তিগত গাড়ি ও মোটর সাইকেল বাদে অন্য কোন যানবাহন ফেরিতে উঠার সুযোগ পাচ্ছিল না।
এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও কতৃপক্ষ ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে রুটের সবগুলো (১৬টি) ফেরিই চালু করেছে। সেই সাথে খুলে দেয়া হয়েছে সকল ফেরিঘাট (৫ টি)।
সরজমিনে বেলা ১১ টার দিকে দেখা যায়, পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ভাষা শহীদ বরকত নামের রোরো ফেরিটি দৌলতদিয়ার ৫ নং ঘাটে এসে ভেড়া মাত্রই পন্টুন ও আশপাশে অপেক্ষমান অসংখ্য যাত্রী ফেরিতে উঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে।এ সময় ওপার থেকে আসা যাত্রী ও যানবাহনগুলো ফেরি হতে ঠিকমতো নামতে পারছিল না।উভয়মুখী যাত্রীদের ভিড়ে সেখানে অস্বস্তিকর পরিস্হিতির সৃষ্টি হয়।স্বাস্হ্যবিধি মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হয়।পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘাটে নিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে গেলেও কর্মমুখি জনতার চাপে তাদের সকল চেষ্টা ব্যার্থতায় পরিনত হয়। ঘাট ও ফেরি সংশ্লিষ্টদের ধারনা দৌলতদিয়া ঘাট থেকে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতিটি রোরো ফেরিতে ৩ হাজারের অধিক সাধারণ যাত্রী পার হচ্ছিল।
এদিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ছোট ছোট যানবাহনের চাপ ছিলো চোখে পড়ার মতো। দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা -উপজেলা হতে অসংখ্য মানুষ ব্যাক্তিগত গাড়ি, রিক্সা,অটোরিকশা, ভ্যান, মাহেন্দ্রযোগে ছুটে আসছেন দৌলতদিয়া ঘাটে। এতে দ্বিগুন/তিনগুন ভাড়া দেয়ার পাশাপাশি তাদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ। যাত্রীরা বলছেন,পরিস্হিতি বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পথে আজকে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব দেখাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে ২ হাজার টাকায় একটি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা যাত্রী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। রবিবার থেকে তার খোলা। চাকরি রক্ষার্থে তাকে যেতেই হবে। তবে স্ত্রী ও ছোট বাচ্চা নিয়ে যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।গন পরিবহন বন্ধ থাকায় রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে তাদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। জানি না ঢাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে আরো কত দূর্ভোগ পোহাতে হবে।গনপরিবহন বন্ধ রেখে কল -কারখানা খোলার ঘোষণায় তাদের এ দূর্ভোগ হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মাগুরা হতে আসা অ্যাম্বুলেন্স চালক হাবিবুর রহমান বলেন, দৌলতদিয়ার ফেরিঘাটগুলোতে মানুষের প্রচুর চাপ। ঘাটে কোন ফেরি আসার সাথে সাথেই যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে উঠে যাচ্ছে। আমি জরুরী রোগী নিয়ে ঘন্টা খানেকের মতো দাড়িয়ে আছি। কিন্তু ফেরিতে উঠতেই পারছি না।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, জরুরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য গত কয়েকদিন ধরে এ নৌরুটে ছোট-বড় ৮ টি ফেরি চলাচল করছিল।কিন্তু যাত্রীদের অত্যাধিক চাপ বেড়ে যাওয়ায় শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে রুটের সবগুলো ফেরিই (১৬টি) চালানো হচ্ছে।সেইসাথে সবগুলো ফেরিঘাটও খুলে দেয়া হয়েছে।
ফেসবুক থেকে এ ভিডিওটি দেখা না গেলে TV Rajbari ( https://www.youtube.com/channel/UCuDGuIdq78amgxb4yhEJ55w ) লিখে ইউটিউবে সার্চ দিলেও দেখা যাবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়