রাজবাড়ীর এসপি’র চেষ্টায় রাস্তায় প্রসব করা মানসিক প্রতিবন্ধী মা খুজে পেল স্বজনদের –

- Update Time : ১০:১০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মার্চ ২০১৮
- / ২৫ Time View
জাহাঙ্গীর হোসেন, ইমরান হোসেন, আতিয়ার রহমান, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
দেড় বছর আগে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের শাহিন প্রমাণিকের মানসিক প্রতিবন্ধী (পাগল) স্ত্রী শিল্পী (২০) নিখোঁজ হন। এর পর থেকেই আর খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না শিল্পীকে। এরই মাঝে গত বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া বাজারের রাস্তার উপর শিল্পী একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। স্থানীয়রা থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই দিনই রাজবাড়ীর সদ্য যোগদানকৃত রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম হাসপাতালে যান এবং নবজাতককে কোলে তুলে নিয়ে আদর করে। সেই সাথে ঠিকানা খুজে বের করার নির্দেশ দেন। ঠিকানা উদ্ধারের পর আজ সোমবার শিল্পীকে তার নবজাতকসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানাগেছে, দেড় মাস ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী শিল্পী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়ার মধুপুর তিন রাস্তার মোড়ের একটি পরিত্যক্ত ঘরে বসবাস করে আসছিলো। গত বৃহস্পতিবার ৮মার্চ ছিলো আর্ন্তজাতিক নারী দিবস। ওই দিবসে শিল্পী নারুয়া বাজারে সড়কের উপর একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে। স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে ও নবজাতককে উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তার ঠিকানা খুজে বের করে পুলিশ। সেই সাথে শিল্পীর মা, ভাইসহ স্থানীয় আরো দুই জন তাকে নিতে রাজবাড়ী আসে। গতকাল দুপুরে পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম তার কার্যালয়ে নবজাতকসহ শিল্পীকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) ফজলুল করিম, বালিয়াকান্দি থানার ওসি হাসিনা বেগমসহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ সদস্যরা বলেন, শিল্পী বেগম মানসিক প্রতিবন্ধী হলেও সে তার সন্তানকে কারও কাছে দিতে রাজি হয়নি। অনেকেই এ নবজাতককে দত্তক নিতে তার কাছে এসেছে, তবে সে কোন ভাবেই নবজাতককে হাতছাড়া করতে রাজি হননি। পুলিশ গাড়িতে করে বালিয়াকান্দি থেকে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসে শিল্পী। অথচ গাড়ি থেকে নামার সময়ও সে তার সন্তানকে কারও কাছে দিতে রাজি হচ্ছিলনা।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম বলেন, পরিচয় খুজে বের করা, চিকিৎসা সেবার দিকে নজর রাখা এবং স্বজনদের এনে শিল্পীকে তার নবজাতক ছেলেসহ তুলে দিতে পেরে তিনি অত্যান্ত খুশি। সেই সাথে তার দারিদ্রতা দুর করতে ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। তিনি পরিবারটির প্রতি নজর রাখবেন বলেও উল্লেখ করেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়