বালিয়াকান্দির মরা চন্দনা নদীতে থেকে মাটি কাটায় দু’বেকু মালিককে জরিমানা

- Update Time : ০৯:৪৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
- / ২৬ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
আদালতে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)’র নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালীরা দিনে ও রাতে আঁধারে বেকু দিয়ে বালিয়াকান্দির মরা চন্দনা নদী থেকে দেদারছে কাটছিলো মাটি।
যার ফলশ্রতিতে গত ২৬ মে বিকালে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন, বালিয়াকান্দির সহকারী কমিশনার (ভূমি) এহসানুল হক শিপন। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে না পেয়ে মাটিকাটার বেকু জব্দ করেন। পরবর্তীতে ওই বেকু বালিয়াকান্দি থানায় রাখা হয়। ওই ঘটনার পর বেকু মালিক ও বহরপুর গ্রামের ছাকেন শেখের ছেলে মোঃ জুয়েল শেখ এবং আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে জাফর শেখ গত ৩১ মে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এহসানুল হক শিপন ১৫ হাজার টাকা করে অর্থ দন্ড প্রদান করেন।
জানাগেছে, মরা চন্দনা নদী থেকে মাটি এনে আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকা বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর শান্তি মিশন সংলগ্ন, মৌজা নম্বর ৬৪, এসএ খতিয়ান ১৬৫, বিএস খতিয়ান ১৭৯৮, বিএস দাগ ৪২৮৬ নং ফসলি জমিতে ফেলা হচ্ছে।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, স্থানীয় বাসিন্দা ড. মো: আব্দুল হাকিম মন্ডল বিরোধপূর্ণ ওই কৃষি জমিতে রাজবাড়ীর বিজ্ঞ বালিয়াকান্দি সহকারী জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালত গত বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে আগামী ১২ জুন’২০২৫ পর্যন্ত উভয় পক্ষ গণকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। এ সর্তেও বিবাদী ও বহরপুর ইউনিয়নের ভররামদিয়া (নতুনচর) গ্রামের মো: লুৎফর সেখের ছেলে মোঃ রইচ সেখের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ১৫/২০ জন দূর্বৃত্ত কৌশলে বিরোধপূর্ণ জমিতে পাশ^বর্তী মরা চন্দনা নদী থেকে মাটি কেটে ফেলছে। যা নিয়ে গত ১৮ মে ড. মো: আব্দুল হাকিম মন্ডল বালিয়াকান্দি থানায় মোঃ রইচ সেখের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে মোঃ রইচ সেখ বলেন, প্রশাসনের কোন লোক তার কাছে আসেনি। তাছারা নদী থেকে যারা মাটি কটছে তারা তার জমিতে স্বল্প সময়ের জন্য মাটি মজুদ করতেছে। পরবর্তীতে ওই মাটি তারা তুলি নিয়ে যাবে। ওই জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তার জানা নেই।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়