গোয়ালন্দে প্রতিবন্ধী নেতার বিরুদ্ধে যৌনহয়রানী ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন –

- Update Time : ০৬:১১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
- / ৩৩ Time View
শামীম শেখ, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
গোয়ালন্দে প্রতিবন্ধী নেতা শহিদ শেখের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীদের টাকা আত্মসাতসহ যৌন হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহীদ থ্রী স্টার প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার বহিষ্কৃত সভাপতি।
তার বিচার চেয়ে রোববার বেলা ১২ টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ পৌরসভা এলাকায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন শতাধিক প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ।
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী প্রতিবন্ধীরা জানান, শহিদ শেখ সংগঠনের সভাপতি থাকাকালীন প্রায় সাড়ে ৪শ সদস্যের আড়াই বছরের সঞ্চয় অন্তত সাড়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অসহায় প্রতিবন্ধীরা অনেক কষ্ট করে ওই সঞ্চয় জমা করেছিল। শুধু তাই নয় তিনি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে অনেক টাকা আদায় করেন ।
এছাড়া তিনি অসহায় এক প্রতিবন্ধীর মা’কে সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাসে কুপ্রস্তাব দেয়া সহ নানাভাবে যৌন হয়রানী করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
হুসাইন নামের একজন প্রতিবন্ধী জানান, সরকার থেকে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১০টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতিবন্ধী নেতা হিসেবে শহিদ শেখকে নাম দেয়ার দায়িত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. রফিকুল ইসলাম। কিন্তু শহিদ শেখ এ সুযোগে অন্তত ২০ জনের কাছ থেকে সরকারী ঘর দেয়ার কথা বলে ১০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে আত্মসাৎ করেন। পরে তারা জানতে পারেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) খুবই সৎ মানুষ তিনি কোন টাকা পয়সা নেননি।
ইয়াসিন সরদার নামের এক ব্যাক্তি জানান, ঘর দেয়ার কথা বলে শহিদ শেখ তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেন। রাহেলা বেগম নামের অপর প্রতিবন্ধি বলেন, ঘর দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছেন শহীদ। এরকম অভিযোগ করেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া আরো অনেক প্রতিবন্ধী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদ শেখ বলেন, প্রতিবন্ধীর মাকে যৌনহয়রানীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে একটি গ্রুপ মানববন্ধনসহ বিভিন্ন অভিযোগ করাচ্ছে।আমি প্রতিবন্ধীদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ করিনি। কোন সদস্য যদি তার সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চায় তাহলে দিয়ে দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আমার নাম ব্যবহার করে টাকা গ্রহনের বিষয়ে ৭জন প্রতিবন্ধী লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছিল। আমি শহিদ শেখকে ডেকে এনে ইতিমধ্যে ৫ জনের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। অপরদের কাছ থেকে টাকা গ্রহনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তাই তাদের আদালতে মামলা দায়ের করতে বলেছি।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়