গোয়ালন্দে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো স্কুল ছাত্রীর বিয়ে-

- Update Time : ০৬:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০১৯
- / ৩০ Time View

শামীম শেখ, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
আদালতের মাধ্যমে এ্যাফিডেভিট করে প্রশাসনের চোখ ফাকি চলছিলো বাল্য বিয়ের চেষ্টা। যদিও শেষ পর্যন্ত আর সেটা হয়ে ওঠেনি। মৌলভির মাধ্যমে বাল্য বিয়ের এই চেষ্টা গোপনে সংবাদের মাধ্যমে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আঃ সালাম সিদ্দিকি ঘটনা স্থলে পৌছে ওই বিয়ে বন্ধ করে দেন। এসময় আদালতে করা এ্যাফিডেভিট অবৈধ বলে মেনে নিয়ে মুচলেকা দেন কনে ও বরের পক্ষের লোকজন।
গত রোববার বিকেলে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের হুকুম মাতুব্বর পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, ঐ গ্রামের মোশারফ হোসেনের মেয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রী মিম আক্তারকে (১৫) একই গ্রামের সোনাই শেখের ছেলে আসলাম শেখের সাথে রবিবার গোপনে মৌলভি দিয়ে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। মিমের পরিবার কর্মসুত্রে ঢাকা সাভারে থাকে। ইতিপূর্বে ছেলে-মেয়ের মধ্য রাজবাড়িতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের এ্যাফিডেভিট করা হয়। কিন্তু কাবিন রেজীস্ট্রি না থাকায় তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় অভিভাবকরা কিছুটা গোপনে গ্রামে এসে মৌলভি দিয়ে তাদের মধ্যে কলমা পড়িয়ে বিয়ের কাজ স¤পন্ন করতে চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ব্যাবস্থা নিতে ঘটনাস্থলে পাঠান। খবর পেয়ে সেখানে আর বর হাজির হননি।
গোয়ালন্দ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আ. সালাম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোপন সংবাদ পেয়ে আমাকে ঘটনাস্থলে পাঠান। আমি বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিক ও আইনগত শাস্তির বিষয় তুলে ধরলে বর ও কণে পক্ষ মুচলেকা দিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এ সময় নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এ্যাফিডেভিট এর বিয়ে অবৈধ বলে স্বীকার করে কনে ও বরের পরিবারের লোকজন মুচলেকাইয় সাক্ষর করেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়