এবার নারী নির্যাতনের অভিযোগ সদর হাসপাতালের আরএমও’র বিরুদ্ধে-

- Update Time : ০৪:১২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৯
- / ৩৫ Time View

রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
দশ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মোঃ শামসুল আলম তার স্ত্রী মাহফুজা আলম দিশাকে মারপিট করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ্য অবস্থায় দিশাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালেরই মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দিশার বাবা ও জেলা শহরের ডাঃ আবুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ এবিএম মঞ্জুরুল আলম দুলাল বাদী হয়ে আরএমও ডাক্তার মোঃ শামসুল আলমসহ তার দুই স্বজন লুৎফা বেগম ও আকরাম মন্ডলকে আসামি করে রাজবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলা দায়ের পর থেকেই ডাক্তার মোঃ শামসুল আলম আত্মগোপনে রয়েছেন। শনিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে ডাক্তার মোঃ শামসুল আলম হাসপাতালের বাইরে রয়েছেন।
মামলার বাদী জানান, ২০০৭ সালের ১২ ডিসেম্বর সদর উপজেলার ঘোরপালান গ্রামের রায়হান মোল্লার ছেলে ডাক্তার মোঃ শামসুল আলমের সাথে তার মেয়ে মাহফুজা আলম দিশা’র বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সাড়ে ৩ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ও দুই লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র তিনি ডাক্তার মোঃ শামসুল আলমকে প্রদান করেন। তারা সুখে সংসার করছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময় ডাক্তার মোঃ শামসুল আলম তার মেয়ের কাছে দশ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। তার মেয়ে যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় ১০ দিন আগে শামসুল আলম তাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। গত ৩ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে ওই তিন জন আসামি বাদীর বাড়ীতে আসে এবং তারা পুনরায় যৌতুকের টাকা দাবী করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ডাক্তার মোঃ শামসুল আলমসহ তার সহযোগিরা দিশা’র তলপেটে লাথি মারার পাশাপাশি স্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। দিশার চিৎকারে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে মেয়েকে তারা উদ্ধার করে। ঘটনার পর দিন দিশার শরীরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ববধায়ক দীপক কুমার বিশ্বাস জানান, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মোঃ শামসুল আলমের পারিবারিক ঝামেলা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতেও ডাক্তার মোঃ শামসুল আলমের ডিউটি ছিলো। তবে তার স্বশুর মামলা দায়ের করায় ডাক্তার মোঃ শামসুল আলম এখন কোথায় আছেন তা তিনি জানাতে পারেন নি। যদিও ডাক্তার মোঃ শামসুল আলমের স্ত্রী দিশা এ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন বলে তিনি জানান।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়