“সঠিক বিচার দিয়ে নরীকে ভোগ নয়, সম্মান দাও ” -লেখিকা – সাহিদা সুলতানা রীমা, রিয়াদ-

- Update Time : ০৫:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০
- / ৫৭ Time View
নরীকে ভোগ নয় সম্মান দাও, সঠিক বিচার দিয়ে। তবে দেশ ও নারী সম্মান পাবে। সমাজ আজ পিষ্ট নানা ভাবে, এক একটি অবক্ষয়ের জালে আটক। পৃথিবী বদলে গেছে বিভিন্ন ধারায় প্রয়োজনের তাগিদে। প্রযুক্তির, ব্যবহার এসেছে ভিন্ন ভিন্ন খাতে। সব কিছুর মাঝে আমরা পরিবর্তন খুঁজি। আমাদের চাহত ও রুচির পরিবর্তন এসেছে।
মন মানুষিকতার তেমন একটি উন্নত রুচিশীল জায়গা তে আজ আমরা পৌঁছাতে পারেছি কি?
কিছু শ্রেনীর মানুষ আজও তাদের পুরুষত্ব কে লালন করে সমাজে ব্যভিচার ধর্ষনের মত গরহিত অন্যায় গুলো করে যাচ্ছে নির্বিচারে। এর কোন সঠিক বিচার নেই। আইন নজরবন্দি তাই হয়তো সঠিক বিচার নেই অন্যায়ের আজ দেশে। যদি তাই হত সেই বর্বর যুগের মত সকলে নারীর পিছে পড়ে থাকতো না পুরুষজাতি। তাদের অনেক কিছু করবার আছে। এক সময় বিনোদন বলতে নাচ,গান ও নারী ছিল। এখন বিজ্ঞানের দানে বিনোদনের যথেষ্ট মাধ্যম রয়েছে নিজ ঘরে ও বাইরে। বর্বরতা সে যুগে মানাতো, এ যুগে নয়।
আমি পুরুষ এই দাবি করা মানুষ গুলো ভুলে যায় তার জন্ম বৃত্তান্ত। যে বর্বর কাজ গুলো পুরুষ ধারি মানুষের দ্বারা সমাজে ঘটছে, তাদের জন্য সুস্থ ভাবে খোলা রাখা হয়েছে পতিতালয়! যারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে তাদের সহায়তা করা হবে। কেন নিরীহ নারীর প্রতি উত্তপ্ত চোখ, উত্তর চাই, বিচার চাই। আজব্দী কোথাও শোনা যায় নি
কোনো সুশ্রী পুরুষের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তাকে তুলে নিয়েছে একদল নারী। স্কুল বন্ধ হয়েছে পাড়ার বখাটে মেয়েদের জন্য কোন পুরুষের। কোন আলেম মহিলা দ্বারা পুরুষ ধর্ষিত। লজ্জায় মূর্ছা যেতে ইচ্ছে করে। কোথায় তোমার ধর্ম ও সম্মান ? যুবক, আবাল, বৃদ্ধ সবাই যেনো কোন এক প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ধর্ষন যেন ক্যন্সার ব্যাধি আজ সমাজে। এর প্রতিকার ,সেই অংশ গুলো বেছে কেটে ফেলা। কেন আমরা দেরি করছি ? আরো সম্মান হানি, আরো নারীর অন্তর মৃত্যু দেখতে চাই।
বাংলাদেশে এমন একটি ঘটনা নেই যে নারী কম কাপড় পড়ার জন্য ধর্ষিতা, অসম্মানিত। শাক দিয়ে মাছ ডাকার মত গল্প কেউ শুনতে চায় না। এসব মস্তিষ্ক বিকৃত মানুষ গুলো যত শিগগিরী সম্ভব পাগলা গারদে পুরে দেওয়া।
তা নাহলে বাংলাদেশের এ লজ্জা একার। সারা পৃথিবী জুড়ে কি বিকার গ্রস্ত ভাবনা চলছে তা না ভেবে আমাদের দেশে সঠিক বিচার না হওয়ায় কি ঘটছে সেটা ভাবি।
আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচারের অভাবে নিজের ঘরের সম্মান নিজের ঘরে বিকিয়ে দিচ্ছি। দর্শক হয়ে হাতে তালি দিচ্ছে অন্যরা। নোংরা বিকৃত মানুষ গুলো আজ গোটা জাতির লজ্জার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা উই পোকার মত বেড়েই উঠছে, শুধু সঠিক বিচারের অভাবে। একটি ছেলে সন্তান এর বিকাশ তার পরিবারের উপর নির্ভর করে তার ভালো মন্দ সুষ্ঠু ভাবে বেড়ে উঠা তারপর সমাজ। নৈতিক চরিত্র গড়ে তোলার দায়িত্ব তার নিজ পরিবারের উপর বর্তায় তার পর সমাজ। সস্তান কে সময় দেওয়া, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা পরিবারের দায়িত্ব,তার সুষ্ঠু মানুষিকতায় বেড়ে উঠার জন্য। তারপর ও অন্যায় তখনি লম্বা হয় যখন বিচার হয় না। ধর্ষন ঠিক তেমনই একটি সামাজিক ব্যাধি যা বিচারে অভাবে দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে যার প্রতিকার মৃত্যু দ্বন্দ।
# # রাজবাড়ীর বাসিন্দা লেখিকা -সাহিদা সুলতানা রীমা, রিয়াদ, সৌদি আরব।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়