মেম্বার বটে ! গোয়ালন্দে কালভার্ট বিক্রি করে দিলেন ইউপি সদস্য –
- Update Time : ০৯:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মে ২০১৮
- / ১৯ Time View
আজু সিকদার, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইউপি সদস্য সরকারী কালভার্ট (ছোট ব্রীজ) বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্রেতা ওই কালভার্টটি অপসারন করে নিয়ে যাওয়ায় রাস্তার মাঝে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনসাধারনের চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল হোসেন কোন প্রকার নিয়ম-কানুন না মেনে স্থানীয় আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় কালভার্টটি (ব্রীজ) বিক্রি করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ক্রেতা বেকু মেশিন দিয়ে রাস্তার মাটি কেটে ওই ব্রীজের ইট ও রড খুলে নিয়ে গেছেন। এতে জনসাধরনের চলাচলে অসুবিধা হওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে উজানচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম উজানচর নবু ওসিমদ্দিন পাড়া মোকবুলের দোকান এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে শোমসেরপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন ওই কালভার্টটি নির্মান করা হয়। গোয়ালন্দ উপজেলার এলজিইডি বিভাগ সরকারী অর্থায়নে এটি নির্মান করে। ওই কালভার্টটি দিয়ে এলাকার মাঠের পানি বের হওয়া সহ মানুষ যাতায়াত করে আসছিল। বর্ষা মৌসুমে পানির স্্েরাতে কালভার্টটি সংলগ্ন মসজিদটি ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পড়লে এবং মাঠের পানি বের হওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা থাকায় এলাকাবাসী কালভার্টটির মুখ ভরাট করে দিয়েছে।
স্থানীয় শাজাহান শেখ, ওয়ালিউল ইসলাম, দোয়াত শেখ, হারেজ শেখ, আক্কাছ হোসেন, খবির শেখ সহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আবুল মেম্বর কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে আনোয়ারের কাছে ব্রীজটি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। সরকারী টাকায় নির্মিত ব্রীজ টেন্ডার ছাড়া উনি কিভাবে বিক্রি করলেন আমরা তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলাতে সেখান দিয়ে মসজিদের মুসল্লি ও আশপাশের লোকজনের চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্রীজটি কেনার বিষয়টি স্বীকার করে আনোয়ার হোসেন বলেন, ৪০ হাজার টাকায় নয়, আবুল মেম্বরকে আমি ৫হাজার টাকা দিয়েছিলাম। তবে পুরোটা ভাঙতে না পারায় তিনি আমাকে ১ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, ওই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা হবে। তাছাড়া সেখানে আর কালভার্টটির কোন প্রয়োজন না থাকায় আমি আনোয়ারের কাছে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। এ বিষয়ে আইন-কানুনের বিষয়টি আমার অতটা জানা নেই। তবে ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি আমি অবগত করেছি বলে তিনি দাবী করেন।
উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকীর জানান, কালভার্টটির ব্যাপারে আবুল মেম্বর বা অন্য কেউ আমাকে কিছুই জানান নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু নাসার উদ্দিন জানান, সরকারী সম্পদ বিনা টেন্ডারে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। সেটার মূল্য যাই হোক। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় সরকারী সম্পদ বিক্রিরও একটা নিয়ম-কানুন আছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়