গোয়ালন্দে একটি ব্রীজ না থাকায় দশ গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ –
- Update Time : ০৮:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৮
- / ১৮ Time View
আজু সিকদার, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজার থেকে গোয়ালন্দ ঘাটগামী রেল লাইনের পাশে পৌর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান এলাকায় একটি ব্রীজ না থাকায় অন্তত দশ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ওই স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের তোরাপ শেখের পাড়া, যদু ফকির পাড়া, মোকছেদ মোল্লার পাড়া, উজানচর ইউনিয়নের নতুন পাড়াসহ ৮-১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের গোয়ালন্দ বাজারের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম রেল লাইনের পাশের সড়কটি। দীর্ঘদিন মেঠোপথ থাকলেও প্রায় ২ বছর আগে গোয়ালন্দ পৌর কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের সুবিধার্থে পৌরসভার অন্তর্গত প্রায় ১ কিলোমিটার অংশ পাকাকরণ ও গরুর হাট সংলগ্ন রেল ব্রীজের পাশে একটি ছোট ব্রীজ নির্মাণ করে। কিন্তু পৌর সীমান্তের বাইরে মহাশ্মশানের পাশে উত্তর উজানচর এলাকায় আরেকটি রেল ব্রীজ রয়েছে। জনসাধারণ তাদের কৃষি পণ্য, পোলট্রি ফার্মের বাচ্চা ও মালামাল পরিবহন, জরুরী রোগী বহনের ক্ষেত্রে এ্যাম্বুলেন্স চলাচল ও সাধারণ যাত্রীদের জন্য রিক্সা, অটোরিক্সা, মাহেন্দ্রর মতো যানবাহনগুলো ব্রীজটির ওই অংশ দিয়ে চলাচল করতে পারে না।
সূত্রমতে, মহাশ্মশান এলাকার ওই রেল ব্রীজটি গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বর্তমানে ব্রীজটির সংস্কার কাজ করছে রেল কর্তৃপক্ষ। সংস্কার কাজের জন্য গত ২ সপ্তাহ ধরে ওই লাইনে ট্রেন চলাচলসহ জনসাধারণের সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে আছে। গত সোমবার (২ এপ্রিল) স্থানীয় কয়েকশ মানুষ সেখানে সমবেত হয়ে এ সংস্কার কাজের সাথেই পাশে একটি ছোট ব্রীজ নির্মাণ করার দাবী জানায়। খবর পেয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম, ইউএনও আবু নাসার উদ্দিন, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকির, গোয়ালন্দ পৌরসভার প্যানেল মেয়র কোমল কুমার সাহা সেখানে উপস্থিত হন। তারা জনগণের দাবীর সাথে সহমত প্রকাশ করে সেখানে দ্রুত আরেকটি ছোট ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস প্রদান ও এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
দৌলতদিয়া তোরাপ শেখের পাড়ার বাসিন্দা হুমায়ন আহমেদ জানান, তিনি বাড়ীতে একটি পোলট্রি ফার্ম করেছেন। তাছাড়া গোয়ালন্দ বাজারে রয়েছে তার সার ও কীটনাশকের দোকান। প্রতিনিয়ত তাকে গোয়ালন্দ বাজার থেকে বাড়ীর পথে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু মহাশ্মশানের পাশে একটি ছোট ব্রীজ না থাকায় তাকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা হয়ে অন্তত ৫-৬ কিমি পথ ঘুরতে হয়। একই সমস্যা তাদের এলাকার সব মানুষের।
স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম জানান, এখানে একটি ছোট ব্রীজ থাকলে দৌলতদিয়া ঘাটে যানজটকালীন সময়ে এ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরী যানবাহনগুলো এই বিকল্প সড়ক দিয়ে ঘাটে পৌছাতে পারতো।
উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকির বলেন, জনগণের সুবিধার্থে যেকোন ভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই এলাকায় ব্রীজ নির্মাণের জন্য আমিও দাবী জানাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে তিনি প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবেন।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু নাসার উদ্দিন জানান, জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে সেখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য আমি রেলওয়েসহ সকল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছি। ব্রীজটি হলে মানুষের চলাচল অনেক সহজ হয়ে যেতো।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়