পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রাজবাড়ী সনাকের মানববন্ধন –
- Update Time : ০৯:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ এপ্রিল ২০১৮
- / ২২ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
“শিক্ষা খাতে সুশাসন ও মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ: চাই পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। সেই সাথে প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে ৯ দফা সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) রাজবাড়ী জেলা শাখার উদ্যোগে আজ রবিবার সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে ওই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। সনাক রাজবাড়ী’র সভাপতি প্রফেসর শংকর চন্দ্র সিনহা, সনাক এর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য প্রফেসর মো: কেরামত আলী, রাজবাড়ী জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. তোসলিম উদ্দিন, ওয়েড, রাজবাড়ী এর নির্বাহী পরিচালক খায়রুল হাসান মিন্টু, রাজবাড়ী উন্নয়ন সংস্থা এর নির্বাহী পরিচালক মো: লুৎফর রহমান লাবু, নাসা এর নির্বাহী পরিচালক মনিরুজ্জামান সোহেল, ধরণী সমাজ কল্যণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক তৌফিক- এ -রব্বানী তুহিন, ব্র্যাক এর জেলা প্রতিনিধি নেফাজ উদ্দিন, সনাক সহ-সভাপতি মেজবাহ- উল -করিম রিন্টু, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠির প্রতিনিধি আ: জব্বার, স্বজন সদস্য সেলিনা বিলকিস প্রমুখ। মানববন্ধন এ টিআইবি’র ধারণা পত্র পাঠ করেন সনাক সহ-সভাপতি এ্যাড. নাজমা সুলতানা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি সহ উচ্চশিক্ষায় ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে জাতীকে মেধাশূন্য করার যে চক্রান্ত চলছে তা অনতিবিলম্বে রোধ করতে হবে এবং প্রশ্ন ফাঁস এর সাথে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান। প্রশ্ন ফাঁস রোধে সরকারের সহায়ক হিসাবে অবদান রাখার লক্ষ্যে সনাক-টিআইবি’র সুপারিশ সমূহ উপস্থাপন করেন সনাক, রাজবাড়ী’র সভাপতি প্রফেসর শংকর চন্দ্র সিনহা। সুপারিশ গুলো হলো: পাবলিক পরীক্ষাসমুহ (অপরাধ) (সংশোধন) আইন. ১৯৯২’ এর ৪ ধারা পুনরায় সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা পূর্বের ন্যায় সর্বোচ্চ ১০ বছরের করাদন্ডের বিধান প্রণয়ন এবং নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা; কোচিং সেন্টার নিষিদ্ধকরণে সরকারের ‘ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা – ২০১২’ এর অস্পষ্টতা দূর করা এবং কোচিং বাণিজ্য বন্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করা; প্রশ্ন ফাঁস রোধে ও সৃজনশীল পদ্ধতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের গাইড বইয়ের আদলে প্রকাশিত সহায়ক গ্রন্থাবলী বন্ধে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা; তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে তদারকি বাড়ানো ও প্রচলিত আইনের অধীনে শাস্তি নিশ্চিত করা; ধাপ কমিয়ে প্রশ্ন প্রণয়ন, ছাপানো ও বিতরণের কাজটি পরীক্ষামুলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা এবং পরবর্তীতে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা; প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে গঠিত যেকোন তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা; শিক্ষা ও পরীক্ষা পদ্ধতি এবং ব্যবস্থাপনাগত যেকোন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া এবং যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা: প্রশ্ন ফাঁস রোধে বহুনির্বাচনী প্রশ্নব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে তুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা; পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে প্রশ্নপত্রের একাধিক সেট রাখা; মানবন্ধনে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, সনাক, স্বজন, ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্যসহ প্রায় শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়