পাংশায় পরকিয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামীর আত্নহত্যা –
- Update Time : ১০:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মার্চ ২০১৮
- / ২১ Time View
মাসুদ রেজা শিশির, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
নিজ স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর নিজেই গলাই রশি দিয়ে আত্বহত্যা করেছে এক স্বামী! লহোমর্ষ এ ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউপির ০১ নং ওয়ার্ডে মেঘনা খামার পাড়া গ্রামে।
আজ রবিবার সকালে স্থানীয়রা দেখে পুলিশকে জানালে পুলিশ লাশ ২টা উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। জানাগেছে মেঘনা খামারপাড়া গ্রামের মৃত শের আলী মন্ডলের কৃষক ছেলে দেলবর মন্ডল (৫০) রাতের কোন এক সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজ ৬ সন্তানের জননী স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৪৫) কে হত্যা করে স্ত্রীর মরদেহের পাশে গলাই রশি দিয়ে ফাস নিয়ে আত্বহত্যা করেছে। রবিবার সকাল ৮টা প্রর্যন্ত ওই ঘরে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা এসে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দে তে পায়। পরে পুলিশকে সংবাদ দিলে পাংশা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে রাজবাড়ীর মর্গে প্রেরণ করে। এ খবর শুনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম,পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। তবে কি কারনে এরুপ ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক কিছু জানাযায়নি। এ ব্যাপারে মাছপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান খোন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো বলেন আমি শুনে পুলিশকে সংবাদ দেয় তবে কি কারনে এরুপ ঘটনা তা আমার জানা নেই। দেলবর মন্ডলের ৫টি ছেলে ও ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে,এদের মধ্যে ৪ জন ছেলে ঢাকায় গামের্ন্সে কাজ করে,১টি ছেলে ৭ বছর যাবত কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলায় শশুড় বাড়ীতে অবস্থান করে এবং এক মাত্র মেয়ে দিনে নিজের বাড়ীতে থাকলেও রাতের বেলায় এক প্রতিবেশীর বাড়ীতে দির্ঘদিন ধরে অবস্থান করে বলে জানাগেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম নজু বলেন দেলবরের স্ত্রী ঝর্না দির্ঘদিন দুবাই ও ওমানে ছিল প্রায় ৩ মাস আগে তিনি দেশে ফিরেছেন তবে কি কারনে এমন ঘটনা তা তার জানা নেই। পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন জানান এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল ) মোঃ ফজলুল করিম জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরেই এই হত্যা কান্ড ঘটেছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠিয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়