বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন পাংশার নিহত শিক্ষক আসাদুলের স্ত্রী- বিক্ষোভ, মানববন্ধন –

- Update Time : ০৭:৫২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ৭৪ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইলের স্কুল শিক্ষক আসাদুল বারী খান হত্যা মামলার আসামী ও জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জজ আলী বিশ্বাসসহ গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। সেই সাথে ৩৪ আসামি গ্রেপ্তার করায় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম-এর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে পাংশা উপজেলা বাসীর ব্যানারে থানা রোডে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী রত্না খাতুন, কসবামাজাইলের ছাত্রলীগ নেতা মারুফ খান।
স্কুল শিক্ষক আসাদুল বারী খানের স্ত্রী রত্না খাতুন বলেন, তার স্বামীকে জজ আলী বিশ্বাস, পিল্টুসহ অনেকে মিলে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যা মামলার সকল আসামীদের ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ জন্য তিনি রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম-এর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। একই সাথে তিনি গ্রেপ্তারকৃত জজ আলী বিশ্বাসসহ সকল আসামীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবি করেন।
জানাগেছে, চলতি বছরের গত ১৩ মার্চ নির্মমভাবে গুলি করে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কশবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্ণখোলা গ্রামের স্কুল শিক্ষক আসাদুল বারী খানকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা জেলার পাংশা উপজেলার কশবামাজাইল ইউনিয়নের শান্তিখোলা গ্রামের মৃত আফজাল বিশ্বাসের ছেলে জজ আলী বিশ্বাসকে প্রধান আসামি করে ৫১ জনের বিরুদ্ধে পাংশা থানায় একটি মামলা করে। যে মামলা জজ আলী হাইকোট থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় অবস্থান করছিলেন। তবে তার সে জামিনের মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছিলো। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে সুবর্নখোলা গ্রামের একটি মেহগনি বাগান থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও পাংশা থানা পুলিশের সদস্যরা ৩৭ জনকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার করে। যার মধ্যে ৩৪ জনই শিক্ষক আসাদুল খান হত্যার মামলার পলাতক আসামি। সে সময় পুলিশ ২টি ওয়ান শুটার গান, ৩টি কাতুজ, ৯ টি চাপাতি, ৬ টি হাসুয়া, ৪ টি ছোরা, ২টি রামদা, ১টি দা, ১টি ভোজালী, ২টি জিআই পাইপ ও ১টি লোহার রড় উদ্ধার করে। ওই ঘটনার পর গত শুক্রবার বিকালে আসাদুল হত্যা মামলার এতো গুলো আসামি এক সাথে গ্রেপ্তার হওয়ায় আনন্দিত হয়েছেন কসবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্নখোলা গ্রামের বাসিন্দারা। যে কারণে তারা রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম-এর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন। একই সাথে তারা স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলার পাশাপাশি আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি করেছে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার পাংশার কসবাসাজাইল ইউনিয়নের ৩৭ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে গ্রেপ্তা দাবী করে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ডাঃ এএফএম সফীউদ্দিন আহমেদ পাতা। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে দাবী করেছেন, “জজ আলী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা রয়েছে এবং তার বয়স ৮০ বছর”।
এদিকে, রাজবাড়ী জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হওয়া জজ আলী বিশ্বাসের প্রকৃত বয়স নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেই দাবী করছেন জজ আলী বিশ্বাসের বয়স ৮০ বছর। তবে নির্বাচন অফিসের তথ্যানুযায়ী (এনআইডি নম্বর ৮২১০১৬৪৮২৪২১ এবং জন্ম তারিখ ১০-০২-১৯৫৭) তার বয়স ৬৩।
রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি ওমর শরীফ জানান, ২০১২ সালে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা, ডিজিএফআই ও এনএসআই চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের তালিকায় রাজবাড়ীর শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে জেলার পাংশা উপজেলার কশবামাজাইল ইউনিয়নের শান্তিখোলা গ্রামের মৃত আফজাল বিশ্বাসের ছেলে জজ আলী বিশ্বাসের নাম রয়েছে। তার ছবি রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের তালিকার বোর্ডেও টানানো রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণী পাস জজ আলী একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী। সে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও সন্ত্রাসী গ্রুপ করছে নিয়ন্ত্রণ।
ফেসবুক থেকে এ ভিডিওটি দেখা না গেলে TV Rajbari লিখে ইউটিউবে সার্চ দিলেও দেখা যাবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়