ফ্রিল্যাসিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করছে রাজবাড়ীর কলেজ ছাত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা

- Update Time : ০৮:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
- / ৭৬৭ Time View

রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
ফ্রিল্যাসিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করছে রাজবাড়ী সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা। সে রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী এমদাদ হোসাইনের মেয়ে।
ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, ২০২০ সালে করোনার মধ্য ঘরে বসে থেকে মনে হচ্ছিল কিছু একটা করি। তারপর অনলাইন ঘাঁটাঘাঁটি করে ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবলাম। পরবর্তীতে আসলাম পাটোয়ারী নামে আমার একজন চাচার ইনস্টিটিউট থেকে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং শিখি এবং কাজ শুরু করি। কিন্তু কিছু শারীরিক সমস্যা থাকার কারণে আমি কাজটা কিছুদিন করার পরে শারীরিক সমস্যা থাকার কারণে আমি কাজটা বন্ধ করে দেই। কিছুদিন বিরতি নেওয়ার পরে আমি আবার কাজ শুরু করার চেষ্টা করি। তখন আমি একটা ইনস্টিটিউটে জয়েন হই এবং সেখানে কাজ শুরু করি। কিছুদিন কাজ করার পরে তারা তাদের সকল কার্যক্রম কোনো কারনে বন্ধ করে দেয়। তখন আমি খুবই হতাশ হয়ে যাই এবং এই হতাশা থেকে আমি ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ারের লম্বা একটি বিরতি নেই। ভেবেই নিয়েছিলাম আমি কাজ করবো না আর কখনো। পুরো ২০২১ সাল কাজ থেকে দূরে ছিলাম। একটি সময় পরে আমার বাবা আমাকে নতুন করে কাজটি শুরু করার জন্য বলেন। কিন্তু শুরুতে আমি খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছিলাম না। এরপর বাবা আমাকে ইডেজেল (অনলাইন প্লাটফর্ম) জয়েন করায়। যদিও ঠিক ভাবে আমি ক্লাস বা মিটিংয়ে এটেন্ড থাকতাম না। একদিন বাবা আমাকে অনেক বেশি কড়া কথা শোনায়। তারপর আমি মন দিয়ে একটা ক্লাস করি এবং ক্লাস করার পরে মনে হয়েছে যে, না আমি এখানে কাজ শুরু করতে পারব। নতুন প্রজন্মের জন্য ইডেজেল আসলেই ভালো কিছু করছে। তারপর থেকে আমি এখানে কাজ শুরু করি। এখন আলহামদুলিল্লাহ আমার একটা ভালো ইনকাম হচ্ছে। শুধু আমি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করছি এমনটা না, আমার কো-অর্ডিনেসনে দেশ-বিদেশ থেকে আরও ৫০ জন ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে। সব মিলিয়ে মাসে এক লাখ টাকার অধিক ইনকাম আসছে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় হিউজ উদ্যোক্তা রয়েছে ফেসবুকে, যারা ফেসবুকে পেজ নিয়ে বিজনেস করতেছে, এদের মধ্যে কমপক্ষে হলেও দেড় লক্ষ এর উপরে পেজ হোল্ডার দৈনিক বুষ্ট করে থাকে, এদের মধ্যে আমরা যদি এক লক্ষ করে কাউন্ট করি তারপরও এই এক লক্ষ পেজ হোল্ডার বা উদ্যোক্তা যদি বুস্ট করে তাহলে একটা বুস্টে খরচ হয় ৮৬৬ টাকা, তাহলে এটাকে যদি কাউন্টিং করা হয় তাহলে এমাউন্ট দাড়ায় ৮ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। মাসে কিন্তু সেটা দাড়ায় ২৫৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। এই বুস্টিং এর পেছনে আমাদের অনেক বড় একটা অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এই যে টাকাটা খরচ হচ্ছে এই সম্পূর্ণ টাকাটাই চলে যাচ্ছে ফেসবুকের কাছে। আমি যে প্রজেক্টে কাজ করছি এই প্রজেক্ট মূলত এটার উপর বেস করে কাজ করছে যে এই টাকাটা কিভাবে আমাদের দেশে রাখা যায় এবং এই টাকার উপর বেস করে কিভাবে কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি করা যায় বা বেকারত্ব দূরীকরণ করা যায় এই বিষয়টা নিয়ে আমরা এখানে কাজ করছি।
ফাতেমা তুজ জোহরার গ্রুপে থাকা জেলা সদরের চন্দনীর ডাউকি গ্রামের বাসিন্দা এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ সৈকত বলেন, দুই মাস ধরে তিনি ফাতেমা তুজ জোহরার সাথে কাজ করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ফিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।
জেলা শহরের কাহারপাড়ার বাসিন্দা এসএসসি পরীক্ষা ফাহমিদ ইয়াছির ফাহাদ বলেন, দেড় মাস ধরে কাজ শিখছে। লেগে থাকলে অবশ্যই পারবে।
রামকান্তপুর মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী বলেন, দুই মাস ধরে শিখছেন। ইতোমধ্যেই তার আয় শুরু হয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়