পাংশায় প্রত্যয়নপত্র দিয়ে টাকা নেবার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- Update Time : ০৮:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১১৭ Time View
রুবেলুর রহমান, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ী পাংশা উপজেলার মেঘনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান এর বিরুদ্ধে প্রত্যয়নপত্র (সার্টিফিকেট) দিয়ে টাকা নেবার অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের থেকে তিনি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবং টাকা ছাড়া প্রত্যয়নপত্র পাচ্ছে না কোন শিক্ষার্থী।
এদিকে স্থানীয় এক সংবাদকর্মী বিষয়টি জানতে সকালে বিদ্যালয়টি অফিস কক্ষে গেলে প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান তার সাথে অশোভন আচরণ ও তুই-তুকারি করেন। এবং তিনি টাকা দিয়ে প্রত্যয়নপত্র কিনে এনছেন বলে জানান। এক পর্যায়ে তিনি ওই সংবাদকর্মীকে দেখে নেবার হুমকি প্রদান করেন।
শিক্ষার্থী ইমন, ইসমাইল ও সিমু বলে, ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি হতে ৫ম শ্রেনীর সার্টিফিকেট প্রয়োজন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক টাকা ছাড়া কাউকে সার্টিফিকেট দেয় না। পড়ে তারা দেড়শ করে টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট এনেছে।
অভিভাবক মোছাঃ এ্যানি ও চাম্পা বলেন, প্রথমে টাকা ছাড়া সার্টিফিকেট আনতে গিয়ে ফিরে এসেছেন। স্যার বলেছে টাকা ছাড়া কোন সার্টিফিকেট দেয়া হয় না। পড়ে বাড়ী ফিরে এসে টাকা নিয়ে অনেক জুরাজুরি করে দেড়শ টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট এনেছেন। কেউ দেড়শ টাকার কম দিলে তাকে সার্টিফিকেট দিচ্ছে না।
এস টিভির জেলা প্রতিনিধি শাহীন রেজা বলেন, প্রত্যয়নপত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে এ বিষয়ে মেঘনা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলে সার্টিফিকেট কিনে নিয়ে এসেছেন। পরবর্তীতে কোথা থেকে কিনে আনা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি রেগে গিয়ে তুই তুকারি করেন। এবং বলেন তার ছেলে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন। তুই যত বড়ই সাংবাদিকই হইস না কেন আমি কিন্তু তাকে জানিয়ে দিবো।
পাংশা উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে এম নজরুল ইসলাম জানান, মেঘনা স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রত্যয়নপত্র দিয়ে টাকা নিচ্ছেন এমন কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পান নাই। তবে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে টাকা দেবার কোন বিধান নাই, ফ্রিতে দেবার কথা। অভিভাবক বা শিক্ষার্থীরা খুশি হয়ে কিছু দিলে, সেটা আলাদা কথা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, কোন শিক্ষার্থী বা অভিভাবকের কাছ থেকে জোর করে কোন টাকা নেন নাই। খুশি হয়ে কেউ মিষ্টি নিয়ে আসে, আবার কেউ কেউ চা নাস্তা করার জন্য ২০/৫০ টাকা দেয়। এরকম সব স্কুলে হয়। তবে তাদের নিজ খরচে সার্টিফিকেট প্রিন্ট করে আনতে হয়। সরকারী ভাবে এই খরচ তারা পান না। এবার টাকা ছাড়াও বহু শিক্ষার্থীকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সকালে শাহিন নামের একটি ছেলের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। সে তার ছাত্র। তখন ছেলেটা তার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলেছে। তবে তিনি তাকে কোন হুমকি দেন নাই।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়