পাংশার ২ আইনজীবি ১ মহুরী সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, প্রক্সিম্যান কারাগারে
- Update Time : ০৯:৩২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২
- / ৮৩ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীর ২নং আমলী আদালতে একটি চাঁদাবাজী মামলার প্রকৃত আসামির পরিবর্তে অন্য লোক (প্রক্সিম্যান) কে হাজির করে জামিন আবেদন করে আইনজীবি। তবে আদালতে ওই ব্যক্তির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রক্সিম্যান প্রকৃত ঘটনা বিষয়টি জানিয়ে আদালতের কাছে মুক্তির আবেদন করে। আর এতেই বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। আদালত ওই প্রক্সিম্যানের নাম ঠিকানা যাচাই করে সত্যতা পান। আর এই গুরুত্বর অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগে শুক্রবার সকালে রাজবাড়ী থানায় রাজবাড়ীর দুই জন আইনজীবিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বাদী ও রাজবাড়ী থানার এসআই হুমায়ন রেজা জানিয়েছেন, জেলার পাংশা থানায় দায়ের হওয়া একটি চাঁদাবাজী মামলা রাজবাড়ীর ২নং আমলী আদালতে বিচারাধিন রয়েছে। এ আদালতে গত ২৮ জুলাই বিকালে ওই মামলার প্রকৃত আসামি ও জেলার পাংশার পারনারায়নপুর গ্রামের মোঃ রিয়াজ উদ্দিন শেখের ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম চুন্নু (২৭) পরিবর্তে একই গ্রামের অশান্ত চন্দ্রের ছেলে বিজন কুমার হলদার (৩০) পরিচয় গোপন করে উপস্থিত হয়। সে সময় ওই মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবি আসামির জামিন আবেদন করেন। তবে আদালতে আসামির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ফলে প্রক্সিদিতে আসা বিজনকে পুলিশ করাগারে নিয়ে যায়। এতে বিপদে পরে যান বিজন। পরবর্তীতে বিজন আদালতের কাছে প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে (আইনজীবি ও আইনজীবি সহকারী (মহুরী) তা ভুল বুঝিয়ে আদালতের সামনে দাঁড়াতে বলে) তার মুক্তির জন্য আবেদন করেন। যে কারণে আদালত বিজনের প্রকৃত নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে পাংশা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পাংশা থানার ওসি তার প্রতিবেদনের জানায় কারাগারে থাকা ব্যক্তি হলো বিজন, সে ওই মামলার আসামি নন এবং প্রকৃত আসামি হলো মোঃ রবিউল ইসলাম চুন্নু। যার প্রেক্ষিতে আদালত ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য রাজবাড়ী থানার ওসি কে নির্দেশ দেন। যে কারণে তিনি (এসআই হুমায়ন রেজা) বাদী হয়ে বিজন কুমার হলদার, মোঃ রবিউল ইসলাম চুন্নু, পাংশার সত্যজিৎপুরের মৃত মীর আবু সাঈদের ছেলে ও আইনজীবি সহকারী (মহুরী) আশরাফুল আলম পলাশ, পাংশার নারায়নপুর কলেজপাড়ার মোঃ জসিম মোল্লার ছেলে ও আইনজীবি জাহিদ উদ্দিন মোল্লা এবং একই গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে ও অপর আইনজীবি একেএম শহিদুজ্জামানকে আসামি করে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রাজবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদাত হোনের বলেন, ওই ঘটনার পর প্রকৃত আসামি মোঃ রবিউল ইসলাম চুন্নু আদালতে হাজির হয় এবং তবে আদালত তাকেও কারাগারে পাঠায়। বর্তমানে বিজন ও চুন্নু রাজবাড়ী জেলা কারাগারে রয়েছেন। তবে অপর আসামি দুই জন আইনজীবি ও মহুরীকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়