নারায়ণগঞ্জে সিটিতে রাজবাড়ীর পুত্রবধু আইভীর হ্যাটট্রিক জয় –

- Update Time : ১০:৩৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
- / ৩০ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নিবার্চনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। আইভী রাজবাড়ী জেলা শহরের সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজের পেছনের এলাকার কাজী আহসান হায়াতের সহধর্মীনি।
এর আগে সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটির ১৯২ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়েছে। নির্ধারিত সময় অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ হলেও কয়েকটি কেন্দ্রের সামনে লাইনে থাকা ভোটাররা ৪টার পরেও ভোট দিয়েছেন। ভোট গ্রহণে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বেশকিছু কেন্দ্র ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে দেরি হয়েছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা মার্কার সেলিনা হায়াৎ আইভী ও হাতি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার কেউই বড় ধরনের কোনো অনিয়মের অভিযোগ করেননি। নারায়ণগঞ্জের শিশুবাগ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। সকালে নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল (এমএ) মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। আর বিকেলে সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
২০১১ সালের ৫ মে প্রতিষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে সেলিনা হায়াৎ আইভী ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোটে আবার নির্বাচিত হন। সেবার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট।
এবার অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে বড় ব্যবধানে তৃতীয় বারের মতো মেয়র হলেন আইভী।
জানাগেছে, ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী। ১৯৬৬ সালের ৬ জুন নারায়নগঞ্জের একটি রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা আলী আহম্মদ চুনকা নারায়নগঞ্জের সাবেক পৌর মেয়র। মায়ের নাম মমতাজ বেগম। তারা ৫ ভাই, বোন। তবে সবার বড় আইভী। ছেলে বেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী। দেশের পড়াশোনা শেষ করে ১৯৮৫ সালে স্কলারশিপ নিয়ে আইভী রাশিয়া যান এবং একজন দক্ষ চিকিৎসক হয়ে ১৯৯২ সালে দেশে ফিরে আসেন। তিনি ঢাকার মিডফোর্ড ও নারায়নগঞ্জ ২০০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘ দিন মানুষের সেবা প্রদান করেন। ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর আইভী রাজবাড়ী জেলা শহরের সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজের পেছনের এলাকার কাজী আহসান হায়াতের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আহসান হায়াৎ নিউনিল্যান্ড প্রবাসী একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তাদের সংসারে কাজী সাদমান হায়াৎ সীমান্ত ও কাজী সারদিল হায়াৎ অনন্ত নামে দুই জন পুত্র সন্তান রয়েছে। আইভী তার বাবার রাজনৈতিক পরিচিতিকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গণ ও সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডে সরব হন এবং ১৯৯৩ সালে তিনি নারায়নগঞ্জ শহর আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিক নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২০০৩ সালে নারায়নগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ও পরবর্তীতে তিনি নারায়নগঞ্জ সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। এবারও তিনি নৌকা প্রতীকের একজন মেয়র প্রার্থী।
ফেসবুক থেকে এ ভিডিওটি দেখা না গেলে TV Rajbari ( https://www.youtube.com/channel/UCuDGuIdq78amgxb4yhEJ55w ) লিখে ইউটিউবে সার্চ দিলেও দেখা যাবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়