পানিবন্দি হওয়ায় খুলছে না রাজবাড়ীর ২২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান –

- Update Time : ০৮:২২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ২৯ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
করোনার দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবার সরকারী ঘোষনা থাকলেও বন্যায় পানিবন্দি থাকায় রাজবাড়ীর ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
জানাগেছে, প্রায় একমাস ধরে রাজবাড়ীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের বেশির ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। বুধবার বিকালে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি ১৮ সেন্টিমিটার কমে এখনও বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। এছাড়া পাংশার সেনগ্রাম ও সদরের মহেন্দ্রপুরেও কমেছে পদ্মার পানি। এদিকে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক।
চলামান বন্যায় জেলায় চারটি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৬৭টি গ্রামের ১০ হাজার ১৩৭ পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে প্রশাসন। তবে এখনও অনেকে ত্রাণ সহায়তা পায়নি বলে অভিযোগ করেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বন্যায় জেলার আবাদী প্রায় সাড়ে ৯ শত একর জমির ফসল তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে।
এর মধ্যে জেলার কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়ীয়ার চরে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়সহ জেলার ২১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন পানি বন্ধি।
পানিবন্দি অবস্থায় থাকা কালুখালীর কৃষ্ণ নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা তিনি পেয়েছেন। তবে তার স্কুলটি পুরোপুরি ভাবে এখন পানি বন্ধি। ক্লাস রুম গুলোতে পানি না উঠলেও স্কুল মাঠ, বাথরুমে বন্যার পানি রয়েছে। পানি না কমা পর্যন্ত কোন ভাবেই স্কুল পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
রাজবাড়ীর তথ্য বাতায়ন সুত্রে জানাগেছে, জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪৮২ টি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে বিদ্যালয় ১৪৮টি ও মাদ্ররাসা ৭৪টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী জানান, জেলার নিম্নাঞ্চলের ২১ টি বিদ্যালয় এখন পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে গোয়ালন্দে বেশি। এসব বিদ্যালয়ের শ্রেনিকক্ষ ও বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গন থেকে পানি না নামা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে যাবে। পরবর্তীতে শিক্ষার সকল কার্যক্রমকে জোরদার করে ক্ষতি পুশিয়ে নেবার চেষ্টা করা হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, জেলার কালুখালীর একটি উচ্চ বিদ্যালয় পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া বন্যা দূর্গতদের জন্য ৭টি স্কুলকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। তাছাড়া জেলার সকল উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা গুলোকে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস গ্রহণের জন্য উপযোগি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়