প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’র চেক নিলেন রাজবাড়ীর ইমরান –
- Update Time : ০৮:৫০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৯
- / ৩৯ Time View
জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
মেহেদী আলম ইমরানের হাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপের চেক’ তুলে দিয়েছেন। গত বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওই চেক তার হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ইমরান রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের আগমাড়াই গ্রামের মোঃ ওয়াজেদ আলী এবং মোছাঃ বিউটি বেগমের জেষ্ঠ্য পুত্র।
তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হকের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি ফেলো হিসেবে গবেষণা করছেন। তিনি বাংলাদেশের মৎস্যচাষের বর্তমান অবস্থা এবং আন্তর্জাতিক মানদন্ডের মধ্যে কি ধরণের ফারাক রয়েছে, তা নিয়ে গবেষনা করছেন। তার পিএইচডি গবেষনার শিরোনাম হচ্ছে “Constraints and potentials of international aquaculture certification in Bangladesh”-এই গবেষনার মাধ্যমে বাংলাদেশের মৎস্য চাষের বর্তমান অবস্থা কি, নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে, দেশের মৎস্য সেক্টরকে টেকসইকরণ ও রপ্তানিযোগ্য করতে সরকারের কি ধরণের পদক্ষেপ নিতে হবে, এসব বিষয়গুলো উঠে আসবে। সে গবেষনা কার্যক্রমের একটি অংশ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থায়নে পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজ্ঞান ও প্রযক্তি মন্ত্রানালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, বিশেষ গবেষনা অনুদান এবং ফেলোদের মধ্যে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযক্তি মন্ত্রানালয় থেকে ফেলোশিপ পাওয়া ১৫ জন গবেষককে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে চেক প্রদান করেন, যেখানে মোঃ মেহেদী আলম একোয়াকালচার সেক্টরে যুগোপযোগি গবেষনার জন্য নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তার পিএইচডি গবেষনার একটি অংশ থেকে Development of pangasius-carp polyculture in Bangladesh: Understanding farm characteristics by, and association between, socio-economic and biological variables’ শিরোনামে একটি আর্টিক্যাল আন্তর্জাতিক সবচেয়ে বড় প্রকাশক Elsevier এর স্বনামধন্য জার্নাল ‘একোয়াকালচার’ এ প্রকাশিত হয় (ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর-২.৭১০)। তার এই গবেষনা সম্পূর্ণ হলে আন্তর্জাতিক জার্নালে আরো কয়েকটি আর্টিক্যাল প্রকাশিত হবে, যেখানে একোয়াকালচার অর্থাৎ মৎস্যচাষ পদ্ধতির আন্তর্জাতিক দিক নির্দেশনা থাকবে, যা বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশের উৎপাদিত মাছ আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির দুয়ার উন্মোচিত হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়