রাজবাড়ীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ৩ টি কোচিং সেন্টার সিলগালা –
- Update Time : ০৯:৩০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
- / ৪৮ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ীতে কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছে। ওই ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্বদেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) মোঃ সাদেকুর রহমান।
এ সময় জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মহিউদ্দিনসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) মোঃ সাদেকুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার তারা কোচিং সেন্টার বন্ধ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা হাতে পান। ওই নির্দেশনার আলোকে গতকাল সন্ধ্যা রাতে জেলা শহরে অভিযান পরিচালনা করেন। প্রথমে শহরের সমবায় মার্কেটের তৃতীয় তলায় থাকা নিউ ক্লিয়ার্স কোচিং সেন্টারে অভিযান চালান। সময় ওই কোচিং সেন্টারের অফিস কক্ষ ও মূলগেট সিলগালা করে দেয়া হয়। এরপর রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এলাকায় থাকা ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসিমা আক্তারের বাসায় থাকা কোচিং সেন্টার ও শহরের বেড়াডাঙ্গার শিশুপার্ক সংলগ্ন রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মান্নান সেখের বাসার কোচিং সেন্টার সিলগালা করা হয়। সেই সাথে ভান্ডরিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ওসমানের রাজবাড়ী সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজ এলাকায় থাকা কোচিং সেন্টারে অভিযান চালানোর পাশাপাশি কড়া ভাষায় সতর্ক করা হয়। সেই সাথে কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িতদের আজ (রবিবার) তার কার্যালয়ে যাবার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এদিকে কয়েকজন অভিভাবক ও শিক্ষক জানান, রাজবাড়ী জেলা শহরের একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক কতিপয় সাংবাদিকের ছত্রছায়ায় একাধিক কোচিং সেন্টার চালিয়ে আঙ্গলফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। ইতোমধ্যেই ওই শিক্ষক প্রশ্ন জালিয়াতি ও কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে পাঁচতলা আলিশান বাড়ী নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন তিনি বিশালবহুল নিজস্ব গাড়ীতে। সেলুনে গিয়ে চুল ও দাঁড়িও তিনি কামান না। বাসায় নরসুন্দরকে ডেকে এনে ৫০০টাকা ভিজিট দিয়ে চুল ও দাঁড়ি কাটান। স্বল্প সময়ে ওই শিক্ষকের আকাশ চুম্বি অর্থনৈতিক সাফল্যের বিষয়টি অবাক করার মতো। তবে কৌশলী ওই শিক্ষক অজ্ঞাত উপায়ে তথ্য পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার পূর্বে সাময়িক ভাবে তার কোচিং সেন্টার বন্ধ করে রেখেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের তা চালু করবে। সাধারণ অভিভাকদের দাবী একজন সহকারী শিক্ষক যে টাকা বেতন পান তা দিয়ে নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার পরিচালনাই যেখানে কষ্টকর, সেখানে ওই শিক্ষকের এতো বৃত্ত বৈভব আসলো কোথা থেকে, তার খুটির জোরইবা কোথায় তা দুদকসহ জেলা প্রশাসনের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়