ভাল নাই রাজবাড়ীর আইএসসি পাশ করা মুচি বাহাদুর সহ রবি দাসরা –
- Update Time : ১০:০০:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১
- / ২৮ Time View
রুবেলুর রহমান, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
‘এখন দিনে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কামাই হয়। যা দিয়ে সংসার চলে না। সংসারে রয়েছে স্ত্রীসহ তিন ছেলে ও এক মেয়ে। এরমধ্যে কিছুদিন হলো এক ছেলে মারা গেছে। লকডাউনে লোকজন বাইরে তেমন আসে না। আর কাজও বন্ধ রাখতে হয়। ফলে কামাইও হয় না’।
এমন করেই অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন রাজবাড়ীর আইএসসি পাশ করা তিন যুগের বেশি সময় ধরে জুতা সেলাই (মুচি)’র কাজ করা বাহাদুর রবি দাস (৭১)। তিনি রাজবাড়ী জেলা শহরের পৌর ইংলিশ সুপার মার্কেটের নিচের ফুটপথে জুতা সেলাই (মুচি)’র কাজ করেন।
এছড়া শহরের বিভিন্নস্থানে প্রায় ৪০ জনের মত জুতা সেলাই (মুচি)’র কাজের সঙ্গে জরিত। এদের বেশির ভাগই কাজ থাকায় অলস সময় পার এবং গল্প গুজব করে সময় পার করছেন। আবার কেউ বাক্স গুছিয়ে বাড়ী চলে গেছেন।
বাহাদুর রবি দাস বলেন, তৎকালীন সময়ে তিনি রাজবাড়ী সরকারী কলেজ থেকে আইসি পাশ করেন। কিন্তু ছোট জাত হওয়াতে অনেক চেষ্টা করেও কোন চাকুরী পাননি। ফলে বাধ্য হয়েই জুতা সেলাই (মুচি)’র কাজ শুরু করেন। আজ ৪০ বছর ধরে তিনি জুতা সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। আগে দিনে ২ থেকে ৩ শ টাকা কামাই করতেন। কিন্তু করোনা আসার পর থেকে তেমন কামাই হয় না। দিনে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কামাই হয়। এতে সংসার চালে না। গতবছর করোনার শুরুতে কিছু সহযোগিতা পেলেও এবছর কোন সহযোগিতা পাননি। তাই বাধ্য হয়ে করোনার মধ্যে এ বয়সে ফুটপথে এসে কাজের আসায় বসেছেন কিছু টাকার জন্য।
ভোলা ওরফে সাগর রবি দাস, কুটি রবি রাস, অনিল রবি দাস, সোহাগ রবি দাস জানান, শহরে তারা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন এ পেশা (মুচি)’র সঙ্গে জরিত। এবং এ কাজ করেই চলে তাদের সংসার। কিন্তু বর্তমানে তারা খুব কষ্টে দিন পার করছেন। করোনা শুরুর পর থেকেই তাদের কাজ কমেছে। আর লকডাউনে বন্ধ থাকে কাজ। আগে যেখানে দিনে ২ থেকে ৩শ টাকা আয় হতো। এখন সেখানে ৫০টাকা হওয়াই কষ্ট। কিন্তু সাংসারকি খরচ, ছেলে-মেয়ের পেছনে খরচ, কিস্তিসহ নানা ঝামেলা রয়েছে। ফলে সংসার চালাতে ধার দেনা করতে হচ্ছে।
তারা আরও জানান, করোনাকালীন শুরুর সময়ে তারা কিছুই সহযোগিতা পেয়েছেন। তারপর তারা আর কিছু পান নাই। এ অবস্থায় তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। এবং সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়