“সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একজন দক্ষ সংগঠকের ভ’মিকা” : লেখক – ফারহানা মিনি
- Update Time : ১১:৪৪:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৩২৭ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
১৯৭০ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় মহিলা পরিষদ। যার উদ্দেশ্য নারী পুরুষের সমতা ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, বৈষম্যহীন, নারীপ্রতিসকল প্রকার নির্যাতন ও নিপিড়ন মুক্ত একটি সমাজপ্রতিষ্ঠা। যার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুফিয়া কামাল। তার জীবদ্দশা পর্যন্ত তিনি এই সংগঠনকে সুচারুরুপে পরিচালিত এবং প্রসারিত করেন। স্বেচ্ছা শ্রমেরব্রতীনিয়ে পরবর্তীতে সংগঠনের হালধরেন বিভিন্ন নারী নেত্রী সংগঠক যাদের ঐকান্তিক চেষ্টায়, তৃণমূল থেকে ইউনিয়ন, থানা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায় মহিলা পরিষদের কাজের ধারা।
হ্যা আমাদের অর্জন কিন্তু কম নয়। তদুপরি বর্তমান যুগের চাহিদায় আমাদের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমাদের অপূর্নতাকে পূর্ণে রূপদান করতে আমাদেরকে আরো সংগঠিত হতে হবে। সাথে সথে আমাদের কাজের ধারার ও পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের সংগঠনের ঘোষনাপত্রকে সামনে রেখে সংগঠকদের ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে। আন্তঃসমন্বয় বৃদ্ধির মাধ্যমে সংগঠনের আদর্শ ও চিন্তাভাবনার মধ্যে যে দুরত্ব আছেতা দূর করতে হবে। তরুণদের সম্পৃক্তকরণ এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। সব শ্রেনী পেশার নারী পুরুষকে নিয়ে কাজ করলে সংগঠনের কর্মকান্ড যেমন বেগমান হবে, তেমন পাবে কাঙ্খিত ফল।
আমাদের আজকের মূল বিষয় সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষে একজন সংগঠকের ভ’মিকা। আমরা যদি সেদিকে আলোকপাত করিতা হলে দেখতে পাই-
একজন সংগঠক হলো সংগঠনের মূল চালিকা শক্তি। যিনি সংগঠনকে সু-শৃংখল ভাবে পরিচালিত করে পৌঁছাতে পারেন কাঙ্খিত লক্ষে। মহিলা পরিষদের মূল দলিল অর্থাৎ গঠনতন্ত্র এবং ঘোলনাপত্র যাকে ধারন করেই একজন দক্ষ সংগঠক পরিচালিত করতে পারেন তার কর্মযোগ্য। এক্ষেত্রে তার প্রতিভা এবং দক্ষতা তাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিবে।
একজন সংগঠকের সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষে নিম্মোক্ত পন্থা গুলো অবলম্বন করা আমার মতে জরুরী –
-সর্ব প্রথমেই আমাদের ঘোষনাপত্র এবং গঠনতন্ত্রকে ধারন করতে হবে।
– সময়ের সাথে নতুননতুন কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
– প্রযুক্তির দক্ষতা বাড়িয়ে নিজেদেরকে এবং সংগঠনের নেতৃত্বে পরিধি বাড়ানোয় সচেষ্ট হতে হবে।
– তৃণমূল সংগঠকদের এডভোকেসী ক্ষেত্রে পারদশী করতে হবে।
– নতুন প্রজন্মকে অগ্রাধিকার দেওয়া তাদের ভিতর নেতৃত্ব সুলভ আচরণ তৈরী করতে হবে।
– তরুণ, তরুণী সমন্বয়ে পাঠচক্রের মাধ্যমে তাদের সংগঠনের প্রতিউদ্বুদ্ধ করতে হবে।
– নারীর অধিকার সম্পর্কে নারী পুরুষ উভয়কেই সচেতন করতে হবে।
– সংগঠনের ভিতরে বহুমাত্রিক কাজের সমন্বয়ে সংগঠক এবং কর্মিদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
– তৃণমূল মহিলা পরিষদের উপরে আরো আস্তা বাড়িয়ে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
– প্রশাসন ও সুশীল সমাজের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।
– গণ মাধ্যমকে আরো সম্পৃক্ত করতে হবে।
– দুই , তিনটি, উপপরিষদ মিলে কাজ করতে হবে।
– আন্ত:সমন্বয় ও পেশাদারী দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
– সংগঠনে আদিবাসী, দলিত সম্প্রদায়ের নারীদের অন্তর্ভূক্তি করতে হবে।
– পাঠ্যসূচীতে নারী নির্যাতন, বাল্য বিয়ে, নারি শিক্ষা, নারীর সমঅধিকার সম্পৃক্ত করণ করতে হবে।
– কেন্দ্র বিভাগীয় সংগঠকদের সাথে কাজের সমন্বয় ও নিবিড় যোগাযোগ রাখতে হবে।
– সংগঠনকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে দৃশ্যমান করতে হবে এবং সংগঠনের স্থায়িত্ব রক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
– সর্বোপরি সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সর্ম্পকে সু-স্পষ্ঠ ধারনা এবং সাংগঠনিক শৃংখলা বজায় রাখতে হবে।
কোন মহৎ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংগঠনকে গতিশীল করাই সংগঠকের মূল কাজ। এ ক্ষেত্রে মূখ্য ভ’মিকায় অবতীর্ণ হয়ে এক একজন দক্ষ সংগঠক হয়ে আমাদের মহিলা পরিষদকে সংগঠিত করার লক্ষে প্রতিশ্রæতি হই। আর চ্যালেঞ্চে গ্রহণ করি। আর এই চ্যালেঞ্চে আমরা বিজয়ী হব নিশ্চয়ই।
বাংলাদেশ মহিলাপরিষদ চিরজীবী হোক
লেখক – ফারহানা মিনি, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, রাজবাড়ী জেলা শাখা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়