গোয়ালন্দে জাতীয় মহাসড়কের বেহাল দশা, চরম ভোগান্তি –

- Update Time : ০৯:২৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯
- / ৩০ Time View

আজু সিকদার, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলার ১০ কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচলে চরম ব্যাহত হচ্ছে। মহাসড়ক জুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের কারণে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।
সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলার মোকবুলের দোকান হতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার মহাসড়ক জুড়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। টানা ৩ দিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে সৃষ্টি হওয়া গর্তগুলো আরো প্রসারিত হয়েছে। এতেকরে ব্যাস্ততম মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার যানবাহন অত্যন্ত ধীর গতিতে চলাচল করছে। বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে থাকায় যানবাহনের চালকরা বুঝতে পারছেন না গর্তের গভীরতা। যে কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদেরও পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ।
এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী ট্রাক চালক আলমগীর মিয়া জানান, ব্যাস্ততম এ রকম একটি মহাসড়ক এ রকম দুরাবস্থা হওয়ায় যানবাহন চালানো চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সড়কের মাঝে এত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যে অত্যন্ত ধীর গতিতে সাবধানতার সাথে এই মহাসড়ক টুকু যেতে হয়। তারপরও দূর্ঘটনা সহ যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে।
মহাসড়কের পাশের একাধিক দোকানী জানান, মহাসড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের মধ্যে চলন্ত যানবাহনের চাকা পড়লে নোংরা কাঁদাপানি ছিটে দোকানের মধ্যে চলে আসে। এছাড়া প্রায়ই যানবাহন উল্টে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটে।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের বেহালদশা হয়ে পড়েছে। বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভগকে অবগত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশাকরি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম জানান, ২৪ কোটি টাকা ব্যায়ে মহাসড়কের বসন্তপুর থেকে দৌলতদিয়া টার্মিনাল হয়ে বাইপাস সড়কসহ মোট ১৯ কিমি এলাকায় ৫০ মিলি মিটার পুরুত্ব দিয়ে কার্পেটিং কাজ চলছে। ইতিমধ্যে মোকবুলের দোকান পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ কাজটি সম্পন্ন হলে এ সমস্যা কেটে যাবে বলে তিনি জানান।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়