বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত বাইসাইকেলটি জাদুঘরে সংরক্ষণের উদ্যোগে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মজিবুর রহমানের ব্যবহৃত বাইসাইকেলটি দীর্ঘ ৬০ বছর পর জাদু ঘরে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর এতে বেজায় খুশি বাইসাইকেল মালিক ও রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের ৭৯ বছর বয়স্ক আবদুল ওয়াজেদ মন্ডল।
গতকাল সোমবার সকালে এক প্রতিক্রিয়ায় সাইকেল মালিক আব্দুল ওয়াজেদ মন্ডল জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মজিবুর রহমানের ব্যবহৃত বাইসাইকেলটির সংবাদ পেয়ে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক গত শনিবার বিকালে তার বাড়ীতে আসেন এবং সাইকেলটি তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন। একই সাথে ওই সময়ই তিনি সাইকেলটি জাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য তা নিয়ে যেতে চান। তবে তিনি এভাবে সাইকেলটি দিতে রাজি হননি। তিনি চেয়েছেন, ছোট খাট একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যেমে সাইকেলটি হস্তান্তর করতে। তিনি বলেন“এখন আমি বেজাই খুশি। দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে সাইকেলটি তিনি আগলে রেখেছেন। ওই সাইকেলটি এখন জাদু ঘরে স্থান পাবে এবং বঙ্গবন্ধুর অন্যান্য ভক্তরাসহ নতুন প্রজন্মের মানুষেরা সাইকেলটির ইতিহাস জানতে পারবে।” তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু একদিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হননি। তার অনেক অতিত ইতিহাস রয়েছে। এ বাইসাইকেলটিও একটি ইতিহাস। এ ইতিহাস জানলে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হবেন এবং তার প্রতি আরো সম্মান বাড়াবেন।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম খান জানান, বিষয়টি যেনে তিনি সরজমিনে ওই সাইকেলটি পর্যক্ষেণ করতে ওয়াজেদ মন্ডলের বাড়ীতে গিয়েছিলেন। একই সাথে ওয়াজেদ মন্ডলের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করতেও বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান ওই বাড়ীতে গিয়ে ওয়াজেদ মন্ডলের সাক্ষাৎকার লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি আরো বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলেই সাইকেলটি জাদুঘরে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, ‘১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী ওয়াজেদ আলী চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাতে রাজবাড়ীতে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওই প্রার্থীর পক্ষে টানা ১৫ দিন বঙ্গবন্ধু তার সঙ্গীদের নিয়ে ওয়াজেদ মন্ডলের এ বাইসাইকেলটি চালিয়ে গ্রামের পর গ্রাম চষে বেড়িয়েছেন, চেয়েছেন ভোট।