পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে দু’টি গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ চরমে, পৌঁছেনি এক ছটাক চালও
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পদ্মা নদীর রাজবাড়ী জেলার অংশ গত কয়েক দিন পানি কমতে শুরু করলেও। রাজবাড়ীর ভাগ্যকুল পয়েন্ট ফের পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় পানি বেড়েছে ১ সেন্টি মিটার পানি। শনিবার দুপুর পর্যন্ত পানি বিপদ সীমার ২৫ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানাগেছে।
বর্তমানে রাজবাড়ী জেলা সদরের মিজানপুর, বরাট ও দাদশী ইউনিয়নের এবং পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে থাকা নদী তীরবর্তী এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। তবে সব চেয়ে বেশি বিপাকে আছেন, রাজবাড়ী জেলা সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের মৌকুরি ও কুঠরি গ্রাম দু’টির শতাধিক পরিবার। ওই গ্রাম দু’টির অবস্থান, মাঝ পদ্মা নদীতে। যে কারণে পদ্মা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রাম দু’টির বাড়ী ঘর ও ফসলি জমি। তবে নদীতে থাকা তীব্র স্রোত উপেক্ষা করে গত দুই সপ্তাহে এক ছটাক ত্রাণ সামগ্রীও সেখানে পৌছায়নি।
রাজবাড়ী জেলা সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, জেলা প্রশাসন এখনো মিজানপুর ইউনিয়নের জন্য কোন চাল অথবা নগদ টাকা বরাদ্দ করেনি। যে কারণে তিনি ইউনিয়নের মৌকুরি ও কুঠরি গ্রাম বাসীর দূর্দাশার বিষয়টি অবগত থাকলেও কোন সহযোগীতা করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছেন কয়েক দিনের মধ্যেই ওই গ্রাম গুলোতে ত্রাণ সামগ্রী পৌছানো সম্ভব হবে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম খান জেলার গোয়ালন্দ এবং জেলা সদরের বরাট এলাকার বন্যা দূর্গত ১ শত ৮০ জনের মঝে ৬শত কেজি চাল ও নগদ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করেন।