হত্যার পর পদ্মায় ডুবিয়ে দেয়া হয় নিরবের দেহ, রাজবাড়ীর এসপি’র ব্রিফিং

- Update Time : ১১:২৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ৮ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
হত্যার পর কোমরে লোহার শিকল ও প্লাস্টিকের বস্তায় পদ্মায় ডুবিয়ে দেয়া হয় নিরব শেখ (১৭) -এর দেহ। রাজবাড়ীর কালুখালীতে সংঘঠিত এমন অমানবিক ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে রবিবার দুপুরে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছাঃ শামিম পারভীন প্রেসব্রিফিং করেছেন।
পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং-এ পুলিশ সুপার বলেন, রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থানার রতনদিয়া ইউনিয়নের বাগঝাপা সালেপুর এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামী মোঃ মিজান শেখ (২২) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিজান পাশ^বর্তী বাগলপুর গ্রামের টেন্ডু শেখের ছেলে।
তিনি আরো বলেন, গত ২০ মার্চ রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিনবাড়ি (মাধবপুর বাজার সংলগ্ন) এলাকার বাসিন্দা মোঃ জিয়ারুল শেখের ছেলে নিরব শেখ নিখোঁজ হয়। পরদিন রাতে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে নিরবের পরিবারের কাছে ফোন আসে এবং ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তবে কিছু সময় পর ওই ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এরপর গত ২৩ মার্চ কালুখালী থানাধীন রতনদিয়া ইউনিয়নের বাগঝাপা সালেপুর এলাকার পদ্মা নদীর পাড়ে কোমরে লোহার শিকল ও প্লাস্টিকের বস্তা বাঁধা অবস্থায় নিরব শেখের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরপরই নিহতের বাবা বাদী হয়ে কালুখালী থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় তার (পুলিশ সুপার)-এর নেতৃত্বে থানা পুলিশ এবং ডিবির সমন্বয়ে বিশেষ তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে গোপন সূত্রের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তির পর গত শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামী মোঃ মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তার চাচাতো ভাই নেহাদ আলী (লিয়াকত শেখ) ও কাইয়ুম শেখ। জানা গেছে, নেহাদ ও কাইয়ুমের মধ্যে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল, আর বাদী (নিহত নিরবের বাবা) নেহাদের পক্ষ নেয়ার কারণে কাইয়ুম প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে নিরবকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি ও হত্যার পরিকল্পনা করেন।
মিজান আরো জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর নিরবের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়, এরপর লাশ গুম করতে প্লাস্টিকের বস্তা ও লোহার শিকল দিয়ে কোমরের সাথে বাঁধে এবং পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়।
এখন পর্যন্ত, মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে কঠোরভাবে কাজ করছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়