গোয়ালন্দ সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজে বিধি ভেঙে অধ্যক্ষ নিয়োগ
- Update Time : ০৯:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
- / ১১৩ Time View
filter: 0; jpegRotation: 0; fileterIntensity: 0.000000; filterMask: 0; module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: Hdr; cct_value: 0; AI_Scene: (6, -1); aec_lux: 0.0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;
সিরাজুল ইসলাম, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
সরকারী বিধি ভেঙে গোয়ালন্দ সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজে সহকারী অধ্যাপক বাদ দিয়ে একজন প্রভাষক কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব হস্তান্তরের অভিযোগ উঠেছে বিদায়ী অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী সরদার এর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শিক্ষক, কর্মচারী ও ফেসবুকে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ আগষ্ট) দ্বায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গত ৫ জুলাই দৈনিক একুশের কথা পত্রিকায় সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজে টোকেন মানি আদায়ে অধ্যক্ষের নোটিশ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। জানাযায়, ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট কলেজটি সরকারি করনের ঘোষণা আসে। এরপর কলেজের একটি পক্ষ সরকারি অফিসে টোকেন মানি (ঘুষের টাকা) আদায়ে সাধারণ শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে কয়েক দফা টাকা নেন। সর্বশেষ কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী মোল্লা কে নোটিশের মাধ্যমে আবারও পাঁচ হাজার করে টাকা চাইলে কলেজের পেজ থেকে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।
গত ২৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সরকারি কলেজ -২ উপসচিব চৌধুরী সামিয়া রহমান স্বাক্ষরিত স্বারক নং-৫৭০০,০০০০,০৯০,১৯,০১৬,২০১৮-২৮২ নম্বর প্রজ্ঞাপনে অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী সরদার কে পদায়ন করে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে রসায়ন এর অধ্যাপক হিসেবে যোগদান এর নির্দেশ দেন।
শিক্ষা সচিব জনাব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ স্বাক্ষরিত পরিপত্র অনুযায়ী উপাধ্যক্ষ না থাকলে সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হবেন। সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজে সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন দুজন। নুরুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম লিন্টু এদের মধ্যে আমিরুল ইসলাম জেষ্ঠ তাদেরকে না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হলো নবম গ্রেডের প্রভাষক শামসুন্নাহার সিদ্দীকা জলি কে। অথচ একজন সহকারী অধ্যাপকের গ্রেড -৬।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, এর আগে কলেজে নির্বাচন ছাড়াই শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয় শামসুন্নাহার সিদ্দীকা জলি কে। এবং এবার নিয়ম ভেঙে তাকে অধ্যক্ষ করা হয়।
এব্যাপারে সাবেক অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী সরদার এর সাথে ফোনে কথা বলতে গেলে তিনি জানান সামনাসামনি ছাড়া তিনি এব্যাপারে কোন বক্তব্য দিবেন না। পরবর্তী সময় তাকে শিক্ষা সচিব এর একটি নির্দেশনা আছে কলেজে অধ্যাপক থাকলে নবম গ্রেডের প্রভাষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হলে এটা কলেজ বিধি ভেঙে করা হলো কি না? তিনি ডাক্তারের কাছে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ডিগ্রি কলেজে কোন কমিটি থাকে না এবং এর কার্যক্রম মাউশি নিয়ন্ত্রণ করে। তাকে বদলির পরিপত্রে কাকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হবে সে বিষয়ে একটা নির্দেশনা দেওয়া আছে। এই নির্দেশনার ব্যাত্যয় ঘটলে আমরা কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবো ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য।
এব্যাপারে উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, দায়িত্ব হস্তান্তর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে আমি নিয়ম অনুসার মাউশিতে জ্যষ্ঠাতার তালিকা প্রেরণ করব। এ পদে কে থাকবে তা নির্ধারণ করবে মাউশি। আমি এব্যাপারে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যাবস্থা নিবো।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়