পদ্মার ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে গোয়ালন্দ
- Update Time : ০৯:৫৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
- / ৬৮ Time View
filter: 0; jpegRotation: 0; fileterIntensity: 0.000000; filterMask: 0; module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: SFHDR; cct_value: 0; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 0.0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;
সিরাজুল ইসলাম, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
বছরের পর বছর নদী ভাঙনা রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মানচিত্র ছোট হয়ে আসছে। জানাযায়, উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নে গত ২৯ বছরে নদীভাঙনের কবলে পড়ে ইউনিয়নের ২৪টি গ্রাম পদ্মা নদীতে হারিয়ে গেছে। এলাকার ২১টি মৌজার মধ্যে অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র চারটি।
বছরের পর বছর নদী ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হচ্ছে। বেশির ভাগ মানুষ বর্তমানে লীজ নিয়ে নদীর পাড়েই বসবাস করছে। যাদের অর্থনৈনিক অবস্থা ভালো তারা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করে সেখানেই মানিয়ে নিয়েছে। এছাড়া কিছু অঞ্চল জেগে উঠলেও সেখানে নতুন প্রজন্মের অনেকেই যাওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এছাড়া বর্তমানে দৌলতদিয়ার সাতটি ফেরিঘাটের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র তিনটি। বাকী গুলো নদীর গহ্বরে চলে গেছে।
আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে পদ্মা পাড়ের ছাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকায়। গত একমাসে পাড়ের প্রায় ২০ ফুট এলাকা ভেঙে নিয়ে গেছে। ফলে সেখান থেকে বাড়ীঘর সড়িয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে এলাকাবাসী। এভাবে ভাঙতে থাকলে একটা সময় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডের লোকজন সরে যাওয়ায় ভোট জটিলতা দেখা দিয়েছে এই এলাকায়।বর্তমানে ভাঙন আতংকে রয়েছে তিন শতাধিক পরিবার, শতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, কয়েকদিন গয়ে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১ ৩ ২নং ফেরি ঘাটের মাঝে এবং ৬৪ ৭ নং ফরি ঘাটের মাঝে নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে ১৫টি পরিবারের বসতবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। আঙন আতংকে রয়েছে আরো শতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ৩শতাধিক বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ভাঙন সংশ্লিষ্টদের নিকট থেকে জানা যায়, গত এক মাস যাবৎ নদী ভাঙন শুরু হয়েছে কিন্তু ভাঙন শুরু হলেও খোঁজ নেই রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের বলে অভিযোগ। জানা যায়, শুধুমাত্র বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপ কর্তৃপক্ষ তাদের ঘাট রক্ষার্থে কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে শুরু দায়িত্ব পালন করছেন। সরেজমিন ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এলাকাবাসী গত কয়েকদিন নিজেদের চেষ্টায় বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে।
সাবেক ইউপি সদস্য উজ্জল হোসেন বাবু বলেন, কিছু বলার ভাষা নেই, আমার নিজের বাড়িও নদী ভাঙনের করলে গত এক মাস পূর্ব থেকে নদী ভাঙন শুরু হলেও ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেই কোনো কর্তৃপক্ষের। এদিকে রাজবাড়ী উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত কোনো ভাঙন এলাকায় আসেননি এলাকার সাধারণ মানুষ হতাশ।
ভাঙন আতংকে থাকা ব্যবসায়ী মো. নায়েক মৃধা বলেন, নদী পারে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ী, ভাঙন য়োগ না হলে যে কোনো মুহূর্তে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নদী চলে যাবে। তিনি আরো বলেন, এক মাস আগে থেকে নদীতে আঙন হয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের খাট রক্ষায় শুধু কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেছে। কিন্তু রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেট এখনও পর্যন্ন আসেনি বলে অভিযোগ করেন। এছাড়া ব্যবসায়ী শাহীন খান বলেন, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ডে নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে কিছু বাড়ীর বসতভিটা ইতিমধ্যে নদীতে চলে গেছে অনেকে বিভিন্ন এলাকা ছেড়ে চলে গেছে ভাঙন আতংকে। এছাড়া আরিফ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, একাধিকবার নদী ভাঙনের কবলে পড়েছি, আমি যা দেখি নদী ভাঙনে ভাঙন রেধের নামে শুধু জিও ব্যাগ ফেলানো।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলা হচ্ছে নদী ভাঙন রোধে যে পরিমাণ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো প্রয়োজন সেই তুলনায় কিছু হচ্ছে না।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘুমিয়ে রয়েছে গত এক মাস যাবৎ নদী ভাঙন শুরু হলেও কোন কাজ হচ্ছে না। শুধু বিআইডব্লিউটিএ শুধু লোক দেখানো দায়িত্ব পালন করছে আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেখা মিলছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা এটা প্রত্যাশ্য করি না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন অর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর সহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট গুলো সচল রাখার জন্য ভাঙন রোধে কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেরানো হয়েছে তবে সেটা খুবই কম ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন রোধ করতে আরও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো লাগবে বলেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়