রাজবাড়ী জেলা পরিষদের কৃষি জমি দখল করে বহরপুরে মাটি ভরাট ও ফিলিং ষ্টেশন নির্মাণের পায়তারার অভিযোগ
- Update Time : ০৯:৪২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
- / ১২৮ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
রাজবাড়ী জেলা পরিষদের কৃষি জমি দখল, মাটি ভরাট ও ফিলিং ষ্টেশন নির্মাণের পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রবিবার দুপুরে এলাকাবাসীর পক্ষে এই অভিযোগ দাখিল করেছেন, রাজবাড়ী জেলাধীন বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের শান্তি মিশন গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ নিম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. নিম হাকিম। অভিযোগ পত্র দেয়া হয়েছে, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের হাতে। তার অনুলিপি রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ঠদের দেয়া হয়েছে।
ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজবাড়ী জেলাধীন বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ৬৪ নং বহরপুর মৌজার এসএ খতিয়ান নং-৩, দাগ নং-৪০৯৫, জমির পরিমান ৯৪ শতাংশ এবং বিএস খতিয়ান নং- ১৭৯৮, দাগ নং-৪২৮৬, জমির পরিমান ১১৫ শতাংশ উক্ত জমি বালিয়াকান্দি উপজেলা ও মীর মশাররফ হোসেন সড়কের সংযোগস্থল শান্তি মিশন, ডাস অফিসের সামনে অবস্থিত কৃষি জমি। উক্ত জমির ৯৪ শতাংশ জমি রাজবাড়ী জেলা পরিষদের নামে এসএ রেকর্ডভুক্ত। কিন্তু জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর গ্রামের মৃত যোগেস কুমার কুন্ডর ছেলে স্বপন কুমার কুন্ড নিজ নামে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিএস রেকর্ড করে নেন। পরবর্তীতে ওই জমি একই উপজেলার নতুন চর গ্রামের নিয়ামত শেখের ছেলে ইমরান শেখ, রইচ উদ্দিন শেখ, বকুল শেখ ও গোলজার শেখ-এর কাছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করে। ক্রেতাগনও চতুরতার সাথে রাতের আঁধারে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩-এর ১২ ধারা এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১নং আইন ভঙ্গ করে) বে-আইনী ভাবে মাটি ভরাট পূর্বক কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন এবং স্থায়ী ভাবে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে মাটি ভরাট ও ফিলিং ষ্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
জমির ক্রেতা নতুন চর গ্রামের নিয়ামত শেখের ছেলে রইচ উদ্দিন শেখ জানিয়েছেন, তারা বিএস রেকর্ডের আলোকে স্বপন কুমার কুন্ড’র কাছ থেকে ওই জমি ক্রয় করেছেন। সেখানে জেলা পরিষদের মাত্র ৪ শতাংশ জমি রয়েছে।
ওই অভিযোগ প্রাপ্তির পর রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোর্শেদ আরুজ বলেন, জেলা পরিষদের জমি অন্যকারো বিক্রি করার সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তাৎক্ষণিক জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার শাহ ইমরানকে দায়িত্ব দেন।
সার্ভেয়ার শাহ ইমরান নকশা, দাগ নং ও খতিয়ানসহ অন্যান্য কাগজপত্র ক্ষতিয়ে দেখে জানান, জমিটি রাজবাড়ী জেলা পরিষদের। যে কারণে তাৎক্ষণিক জমিটি উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়