গোয়ালন্দ প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে কুশাহাটা চর ঈদ উপহার বিতরণ

- Update Time : ১১:১৩:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪
- / ৩২ Time View

filter: 0; jpegRotation: 0; fileterIntensity: 0.000000; filterMask: 0; module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (0.13541669, 0.13541669); modeInfo: ; sceneMode: SFHDR; cct_value: 0; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 0.0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
“এতিম অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ” এই প্রতিপাদ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার “প্রবাসী ফোরাম” নামে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন কুশাহাটা চরের প্রায় আট চল্লিশটি অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
শুক্রবার (৫ মার্চ) বেলা সারে এগারোটায় কুশাহাটা মসজিদের পাশে এই বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় তিনজন প্রবাসী আমজাদ হোসেন বিপুল, জামান আজিজ শাহীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা যুগান্তর প্রতিনিধি শামীম শেখ, ডেইলি অবজারভার গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম, নয়া শতাব্দীর সাজ্জাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক মাহফুজুর রহমান মিলন, সফিক মন্ডল, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জানাযায়, প্রবাসী ফোরাম একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর অধিকাংশ সদস্য দেশের বাইরে থাকেন। তারা নিজেদের অর্থে বিভিন্ন সময় দেশের অসহায় পরিবার গুলোকে সাহায্য করে। তারই ধারাবাহিকতায় এই ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম।
কুশাহাটা গোয়ালন্দ উপজেলার একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এখানে জয়পুর, শসরাইল, কুশাহাটা সহ চারটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত এই এলাকা। এখানে প্রায় ১৩০ টি পরিবার বসবাস করে। অধিকাংশ পরিবার দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। তাদের মধ্যে প্রায় ৪৮ টি পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয় গোয়ালন্দ প্রবাসী ফোরামের পক্ষ থেকে।
সংগঠনের কর্মীরা ঈদের দিন অন্তত দুইবেলা ভালভাবে খেতে পারে সেই অনুযায়ী বাজার সদাই করে আটচল্লিশটি ব্যাগ প্রস্তুত করে।
ঈদ উপহার সামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে ৪ কেজি চাউল, ১ কেজি ডাউল, ১লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি লবণ, ৫০০ গ্রাম মুড়ি, ১ প্যাকেট সেমাই, ৫০০ গ্রাম চিনি, ১০০ গ্রাম গুড়া দুধ ও ১ পিছ সাবান, তেচপাতা, গরম মসলা সহ ১৩ টি আইটেম দেওয়া হয়।
এসময় উপকার ভূগি জিন্দার আলী বলেন, ঈদ মানে এখানকার বেশির ভাগ মানুষ সেদিন সেমাই খেতে পারে। আর সাথে খিচুড়ি। অবস্থা যাদের ভালো তারা হয়তো মাংস খায়। আমাদের উপহার সামগ্রীর মধ্যে পোলার চাউল আছে শুনে আমরা আনন্দিত। হয়তো এবার পোলাও খাওয়া হবে।
ছমিরন বিবি বলেন, আল্লাহ ওদের ভালো করুক। বিদেশে কষ্ট করে থেকে ও দেশের কথা মনে রেখেছে। ছেলেরা আলাদা থাকে আমরা ঘরে বাইরে বুড়ো বুড়ী থাকি। অনেকদিন পর এবার ঈদে পোলাও আর সেমাই খেতে পারবো। তিনি সবার মঙ্গল কামনা করেন।
এসময় স্বেচ্ছাসেবকরা বলেন, আমরা এই বিচ্ছিন্ন এলাকা কুশাহাটা বেছে নিয়েছি কারন এখানকার মানুষেরা সব দিক থেকেই পিছিয়ে। বেশির ভাগ মানুষ এখানে অসহায়। এখানে সরকারি অনুদান সেভাবে পৌছায় না।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়