রাজবাড়ীতে দাফন হলো সাংবাদিক লায়েকুজ্জামানের
- Update Time : ১১:২৫:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১০২ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
দৈনিক কালের কণ্ঠের সাবেক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক লায়েকুজ্জামানের দাফন হয়েছে রাজবাড়ী জেলা শহরের পুলিশ লাইন নতুন বাজার সংলগ্ন পৌর ১ নং কবরস্থানে। রবিবার সন্ধ্যার পর দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে মাগরিবের নামাজের পর রাজবাড়ী জেলা শহরের আঞ্জুমান ই কাদেরীয়া (বড় মসজিদ) প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকালে রাজবাড়ী জেলা শহরের কাজিকান্দা গ্রামের লায়েকুজ্জামানের শ^শুরালয় তার মরদেহ আনা হয়। সেখানে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুলের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানাগেছে, পারিবারিক সিদ্ধান্তে লায়েকুজ্জামানের মরদেহ তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দার পরিবর্তে রাজবাড়ীতে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
লায়েকুজ্জামানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তাঁর বর্তমান কর্মস্থলের সহকর্মী ও রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার এস আর জে সুমন। তিনি বলেন, শনিবার বিকেলে পত্রিকা অফিসে কর্তব্যরত অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে সহকর্মীরা তাঁকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লায়েকুজ্জামান সর্বশেষ দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
লায়েকুজ্জামান ১৯৬৪ সালে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দায়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
লায়েকুজ্জামান দীর্ঘদিন কালের কণ্ঠ পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন, সেখান থেকে প্রায় চার মাস আগে রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন।
এ ছাড়া তিনি দৈনিক মানবজমিন ও সকালের খবর পত্রিকায় কাজ করেছেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দিন দর্পণ পত্রিকায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি ছিলেন।
লায়েকুজ্জামান শিক্ষাজীবনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৮০ সালে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স করেন। তিন ভাই ও তিন বোনের সংসারে ভাইদের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স করলেও কর্মজীবনে তিনি পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা বেছে নেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়