রাজবাড়ীতে মুক্তিপন না পেয়ে শিশু রিফাতকে হত্যা, ৩ জনের ফাঁসির দন্ডাদেশ
- Update Time : ০৯:৫৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১২২৮ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ূয়া শিশু রিফাত হোসেন (১১) কে অপহরণের ৭দিন পর হত্যা করা অবস্থায় বাথরুমের হাউজ থেকে মরদেহ উদ্ধার করার মামলার ১১ বছর পর ৩ জনের ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় দিয়েছেন রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মোঃ সাব্বির ফয়েজ। রিফাত রাজবাড়ী জেলা সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের চরনারায়নপুর গ্রামের মুক্তার হোসেন ছেলে। সে জেলা শহরের কলেজপাড়া গ্রামের রাজবাড়ী কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের ছাত্র।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, রিফাতের প্রতিবেশি মালেক সেখের ছেলে ও জেলা শহরের ডাঃ আবুল হোসেন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী রনি সেখ (৩০), কলেজ ছাত্র রনি সেখের বন্ধু ও জেলা শহরের সজ্জনকান্দার জেলে পাড়ার বাসিন্দা রঞ্জন সরকার ওরফে রক্তিম (৩০), রক্তিমের এলাকার বড় ভাই ও দুলালের ছেলে রাসেল (৪০)।
জানাগেছে, ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর রাজবাড়ী কিন্ডার গার্টেন থেকে প্রাইভেট পড়ে নিজ বাড়ী ফেরার পথে অপহরণ করা হয় রিফাত হোসেন (১১) নামক পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রকে। ওই ঘটনার দিনই অপহৃত ছাত্রের পিতার কাছে মোবাইল ফোনে মুক্তিপন বাবদ ১৫ লাখ টাকা দাবী করে অপহরনকারীরা। তবে আটকে রাখার যায়গার অভাবে রিফাতকে ওই দিনই হত্যা করে তারা। হত্যার পর বস্তা বন্দি করে লাশ ফেলে রাখা হয় রাজবাড়ী জেলা শহরের সজ্জনকান্দার জেলে পাড়ার বাসিন্দা ভৈরব শীলের বাড়ীর ল্যাকট্রিনের হাউজে। পুলিশ ওই অপহরণের ঘটনার মূলহোতাদের অন্যতম সদস্য রঞ্জন সরকার ওরফে রক্তিমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই বছরের ১৪ নভেম্বর ভোর রাতে স্কুল ছাত্র রিফাতের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে রাজবাড়ী থানা পুলিশ।
রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের (ভারপ্রাপ্ত) পিপি শেখ সাইফুল হক জানিয়েছেন, ওই মামলার দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালত ৩জনের ফাঁসির রায় প্রদান করে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়