বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দারের জীবনী -লেখক – শেখ ফারজানা আলী মহুয়া
- Update Time : ০৯:৫৭:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৩৮৬ Time View
রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
সদ্য শৈশব থেকে কৈশরে পা রাখা টগবগে এক কিশোরী। যাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তা, সাহসিকতা, জ্ঞানের গভীরতা,দেশপ্রেম আমাদেরকে শিহরিত করে বারংবার। সাহস যোগায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াবার।
প্রীতিলতা,পুরো নাম প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।তবে মা প্রতিভাদেবী তাঁকে রাণী বলে ডাকতেন। ১৯১১ সালের ৫ই মে মঙ্গলবার,বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।বাবা জগদ্বন্ধু ওয়াদ্দেদার ছিলেন মিউনিসিপাল অফিসের হেড কেরাণী। পরিবারের কোন এক পূর্বপুরুষ নবাবী আমলে ওয়াহেদ্দেদার উপাধি পেয়েছিলেন ,এই ওয়াহেদ্দেদার থেকেই ওয়াদেদ্দার।পৈতিক বাড়ি ডেঙ্গাপাড়া হলেও তিনি ধলঘাট গ্রামে মামার বাড়ীতে বড় হয়েছেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলার আস্কারদিঘীর দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে টিনের ছাউনি দেয়া দোতালা বাড়িতে তিনি বসবাস করতেন।ছয় ভাইবোনের মাঝে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় ।
শিক্ষাজীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী।প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু করেন চট্টগ্রামের বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ ডাঃ খাস্তগীর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে । ইতিহাসের শিক্ষক ঊষাদি ছিলেন তাঁর প্রিয় শিক্ষকদের একজন।তিনি প্রীতিলতাকে পুরুষের বেশে ঝাঁসীর রাণী লক্ষীবাঈ এর মত ইংরেজ সৈন্যদের সাথে লড়াইয়ের কথা বলতেন। স্কুলে তাঁর বন্ধুদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কল্পনা দত্ত। ১৯২৮ সালে এই প্রতিষ্ঠান থেকেই তিনি কয়েকটি বিষয়ে লেটার মার্ক সহ মেট্রিক পাস করেন ।পরবর্তীতে তিনি ঢাকার ইডেন কলেজে ভর্তি হন আই.এ পড়ার জন্য।১৯৩০ সালে আই.এ পরীক্ষায় তিনি মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সম্মিলিত মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। এই ফলাফলের জন্য তিনি মাসিক ২০ টাকা বৃত্তি পান এবং কলকাতার বেথুন কলেজে বি.এ ভর্তি হন।১৯৩২সালে তিনি বি.এ পাশ করেন।কিন্তু বিপ্লবী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারনে তিনি এবং তাঁর সঙ্গী বীণা দাশগুপ্তের পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত করা হয়।অবশেষে ২২শে মার্চ ২০১২ সালে কলকাতা বিশ^বিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁদেরকে মরণোত্তর ¯œাতক ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
তখন চট্টগ্রামের বিপ্লবীরা মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় হচ্ছিলেন।এর মধ্যে ১৯২৩ সালের ১৩ডিসেম্বরে টাইগার পাস এর মোড়ে সূর্য সেনের বিপ্লবী সংগঠনের সদস্যরা প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারি কর্মচারিদের বেতন বাবদ নিয়ে যাওয়া ১৭,০০০ টাকা ছিনতাই করে।এ ছিনতায়ের প্রায় দুই সপ্তাহ পর গোপন বৈঠক চলাকালীন অবস্থায় বিপ্লবীদের আস্তানায় হানা দিলে পুলিশের সাথে যুদ্ধের পর প্রেফতার হন সূর্য সেন এবং অম্বিকা চক্রবর্তী।তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় রেলওয়ে ডাকাতি মামলা।১২ বছরের কিশোরী প্রীতিলতার মনে এই ঘটনা অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়।প্রিয় শিক্ষক ঊষাদির সাথে কথা বলে এই মামলার ব্যাপারে অনেক কিছইু জানতে পারেন তিনি।
মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে বিপ্লবী দলের সক্রিয় কর্মী পূর্ণেন্দু দস্তিদার ছিলেন প্রীতিলতার দূরসম্পর্কের দাদা।তিনি সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত কিছু গোপন বই প্রীতিলতার কাছে রাখেন।তখন তিনি দশম শ্রেণির ছাত্রী।লুকিয়ে লুকিয়ে তিনি পড়েন দেশের কথা,ক্ষুদিরাম,বাঘা যতীন,কানাইলাল।এই সমস্ত গ্রন্থ তাঁকে বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত করে।এছাড়া ঝাঁসীর রাণী লক্ষীবাঈ এর জীবনী তাঁর চেতনাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয় ।
ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অদম্য সাহসী।ইডেন কলেজে ভর্তি হয়েই তিনি বিপ্লবী লীলা নাগ প্রতিষ্ঠিত ’দীপালি সংঘ”এর সদস্য হয়ে ছোড়া খেলা ,লাঠিখেলা ও ব্যায়াম শিক্ষা গ্রহণ করেন।কলকাতার ছাত্রীসংঘের তিনি সক্রিয় সদস্য ছিলেন। মেট্রিক পরীক্ষার পর তিনি ফেনী স্কুলের প্রধান শিক্ষয়িত্রীর পদে তিন মাস কাজ করেছিলেন।¯œাতক পরিক্ষা শেষে কলকাতা থেকে ফিরে তিনি অপর্ণাচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার পদে কর্মরত ছিলেন।
প্রীতিলতা দাদা পুর্ণেন্দু দস্তিদারের কাছে বিপ্লবী সংগঠনে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।কিন্তু তখন বিপ্লবী সংগঠনে নারী সদস্য গ্রহণ করা হয়নি।এমনকি বিপ্লবীদের নিকটআতœীয় ছাড়া অন্য নারীদের সাথে মেলামেশা করাও নিষিদ্ধ ছিল।১৯৩০ সালের ১৮ই এপ্রিল যুব বিদ্রোহের পর অনেক বিপ্লবী নিহত হয়েছেন এবং অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন।তখন শহর ও গ্রামের যুবকরা পুলিশের কাছে সবচেয়ে বড় সন্দেহভাজন ছিল। ১৯৩০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের নজরদারী এড়িয়ে মনোরঞ্জন রায় কলকাতা থেকে চট্টগ্রামে এসে সূর্যসেনের হাতে গান-কটন এবং বোমা তুলে দেন।এ সময় তিনি জেলে থাকা বিপ্লবীদের সাথে যোগাযোগ করে চিঠির আদান প্রদান করা এবং বিস্ফোরক বহন করে আনার বিপদ সম্পর্কে মাস্টারদার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।এ অবস্থায় সূর্য সেন নারী বিপ্লবীদের এসব কাজে দায়িত্ব দেবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।কারণ তখনো গোয়েন্দা বিভাগ মেয়েদের সন্দেহ করতো না। যুব বিপ্লবের পর পূর্ণেন্দু দস্তিদার কলকাতার বিপ্লবী মনোরঞ্জন রায়ের পিসি (গুনু পিসি)র বাড়ীতে আতœগোপন করেন।ঐ সময়ে প্রীতিলতা দাদার সাথে দেখা করতে গুনু পিসির বাড়ীতে আসতেন।গুণু পিসির বাসায় বসে প্রীতিলতা,কল্পণা দত্ত ,রেনুকা রায় ,কমলা চ্যাটার্জী প্রমূখ বহু গোপন বৈঠক করেন এবং চট্টগ্রামের যুব বিদ্রোহের পর মাস্টারদার প্রেরিত ইস্তেহার সাইকোস্টাইলে ছাপিয়েকলকাতার বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করেন। গুনু পিসির উপদেশ অনুযায়ী প্রীতিলতা মৃত্যুপ্রতিক্ষারত রামকৃষ্ণ বিশ^াসের সাথে দেখা করার জন্য ”অমিতা” দাস ছদ্মনামে ’কাজিন’ পরিচয় দিয়ে দরখাস্ত করেন। অনুমতি পাবার পর তিনি প্রায় চল্লিশবার রামকৃষ্ণ এর সাথে দেখা করেন।এ সাক্ষাত সম্পর্কে তিনি লিখেছেন,” তাঁর গাম্ভীর্য্যপূণ চাউনি,খোলামেলা কথাবার্তা,নিঃশঙ্ক চিত্তে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা,্্্ঈশ^রের প্রতি অচলা ভক্তি,শিশুসুলভ সারল্য,দরদীমন এবং প্রগাঢ় উপলব্ধিবোধ আমার উপর গভীর রেখাপাত করল।আগের তুলনায় আমি দশগুন বেশি কর্মতৎপর হয়ে উঠলাম।আতœাহুতি দিতে প্রস্তুত এই স্বদেশপ্রেমী যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ আমার জীবনের পরিপূর্ণতাকে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিল।” ১৯৩১সালের ৪ঠা আগষ্ট রামকৃষ্ণ বিশ^াসের ফাঁসি হয়।এই ঘটনা প্রীতিলতার জীবনে এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে।তাঁর ভাষায়,”রামকৃষ্ণদার ফাঁসীর পর বিপ্লবী কর্মকান্ডে সরাসরি যুক্ত হবার আকাক্সক্ষা আমার অনেকগুন বেড়ে গেলো।”
১৯৩২ সালে চট্টগ্রামের যুববিদ্রোহের দুই বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এই বছরগুলোতে আক্রমণের নানা পরিকল্পনার পরেও শেষ পর্যন্ত বিপ্লবীরা নতুন কোন সাফল্য অর্জন করতে পারে নাই। এইসব পরিকল্পনার মূলে ছিলেন মাস্টারদা এবং নির্মল সেন। তাঁরা আত্মগোপণে থেকে সাংগঠনিক কর্মকাÐ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁদের গোপণ আশ্রয়স্থলগুলোর অন্যতম ছিল ধলঘাটে সাবেত্রী দেবীর টিনের ছাউনী দেয়া মাটির দোতালা বাড়ী। এটিকে বিপ্লবীরা ‘আশ্রম’ সংকেতে চিনতো। ১২ জুন ১৯৩২ সালে তুমুল ঝড় বৃষ্টির সন্ধ্যায় মাস্টারদা প্রেরিত লোকের সাথে প্রীতিলতা আশ্রমে পৌঁছায়। যাবার সময় প্রীতিলতা মাস্টারদার জন্য রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের সাথে সাক্ষাতের বিস্তারিত বিবরণ লিখে এনেছিলেন। তখন আশ্রমে অপূর্ব সেন সহ আরও বিপ্লবীরা উপস্থিত ছিলেন। ১৩ই জুন পুলিশ আশ্রমটিকে ঘিরে ফেলে। গোলাগুলিতে ক্যাপ্টেন ক্যামেরুন এবং নির্মল সেন মারা যান। প্রীতিলতা ও অপূর্ব সেনকে নিয়ে মাস্টারদা বাড়ীর বাইরে চলে আসেন। কিন্তু সেখানে লুকিয়ে থাকা সৈন্যের গুলিতে অপূর্ব সেন মারা যান। মাস্টারদা ও প্রীতিলতা সাঁতরে কচুরিপানা ভরা পুকুর পাড় হয়ে অন্য আশ্রয়ে যান। পুকুরে সাঁতার কাটতে যেয়ে পাÐুলিপি হারিয়ে যায়। এই পাÐুলিপির সূত্র ধরেই পুলিশ প্রীতিলতার সন্ধান পায়। ধলাঘাট থেকে পুলিশ বহু বই, পাÐুলিপি এবং ছবি উদধার করে। এরপর প্রীতিলতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন মাস্টারদা প্রীতিলতাকে আত্মগোপণের নির্দেশ দেন।
ইউরোপীয়ান ক্লাব ছিলো ইংরেজদের প্রমোদকেন্দ্র এই ক্লাবের বাইরে লেখা ছিল কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ। মাস্টারদা ১৯৩২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ইউরোপিয়ান ক্লাবে হামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। এই আক্রমণের দায়িত্ব তিনি নারী বিপ্লবীদের দেবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। পুরুষবেশী কল্পনা দত্ত ধরা পড়ে গেলে আক্রমণের নেতৃত্বের ভার পরে একমাত্র নারী বিপ্লবী প্রীতিলতার উপর। ২৩ সে সেপ্টেম্বর এই আক্রমণের সময়ে প্রীতিলতার পরণে ছিল মালকোচা দিয়ে ধুতি আর পাঞ্জাবী। চুল ঢাকা দেবার জন্য মাথায় সাদা পাগড়ী আর পায়ে রাবার সেলের জুতা। আক্রমণে অংশ নেয়া কালীকিংকর দে, বীরেশ্বর রায়, প্রফুল্ল দাস, শান্তি চক্রবর্তীর পোশাক ছিল ধুতি আর শার্ট। লুঙ্গি আর শার্ট পরণে ছিল মহেন্দ্র চৌধুরী, সুশীল দে, আর পান্না সেন এর। বিপ্লবীদের আশ্রয়দাতা যোগেশ মজুমদার ক্লাবের ভিতর থেকে রাত আনুমানিক ১০.৪৫ টার দিকে আক্রমণের নিশানা দেখানোর পরই ক্লাব আক্রমণ শুরু হয়। সেদিন ছিল শনিবার, প্রায় চল্লিশ জন মানুষ তখন ক্লাবঘরে অবস্থান করছিল। তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বিপ্লবীরা ক্লাব আক্রমণ শুরু করে। পূর্বদিকে গেইট দিয়ে ওয়েবলি রিভলবার এবং বোমা নিয়ে আক্রমণের দায়িত্বে ছিলেন প্রীতিলতা, শান্তি চক্রবর্তীর আর কালীকিংকর দে। ওয়েবলি রিভলবার নিয়ে সুশীল দে আর মহেন্দ্র চৌধুরী ক্লাবের দক্ষিণ দরজা দিয়ে এবং নয়ঘড়া পিস্তল নিয়ে বীরেশ্বর রায়, রাইফেল আর হাতবোমা নিয়ে পান্না সেন আর প্রফুল্ল দাশ ক্লাবের উত্তরের জানালা দিয়ে আক্রমণ শুরু করেছিলেন। প্রীতিলতা হুইসেল বাজিয়ে আক্রমণ শুরুর নির্দেশ দেবার পরেই ঘন ঘন গুলি আর বোমার আঘাতে পুরো ক্লাব কেঁপে কেঁপে উঠছিল। ক্লাবঘরের সব বাতি নিভে যাবার কারণে সবাই অন্ধকারে ছুটোছুটি করছিল। ক্লাবে কয়েকজন ইংরেজ অফিসারের কাছে রিভলবার ছিল। তাঁরা পাল্টা আক্রমণ করল। একজন মিলিটারী অফিসারের রিভলবারের গুলিতে প্রীতিলতা আহত হন। প্রীতিলতার নির্দেশে আক্রমণ শেষ হলে বিপ্লবী দলটার সাথে তিনি কিছুদূর এগিয়ে আসেন। ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণে অংশ নেয়ার জন্য বিপ্লবীদের দ্রæত স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রীতিলতা। পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে মাটিতে লূটিয়ে পড়া প্রীতিলতাকে বিপ্লবীয় শ্রদ্ধা জানিয়ে সবাই স্থান ত্যাগ করেন। পরদিন পুলিশ ক্লাব থেকে ১০০ গজ দূরে প্রীতিলতার মৃতদেহ সনাক্ত করে। তাঁর মৃতদেহ তল্লাশীর পর বিপ্লবী লিফলেট, অপারেশন পরিকল্পনা, রিভলবারের গুলি, রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ছবি এবং একটা হুইসেল পাওয়া যায়। এভাবেই অস্তমিত হয় ভারতের অগ্নীকন্যা প্রথম নারী শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দারের জীবন। তবে মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর আকাঙ্খার কথা লিখে গিয়েছিলেন, “আমি ঐকান্তিকভাবে আশা করি যে, আমার দেশের ভগিনীরা আর নিজেকে দুর্বল মনে করিবেন না। এই আশা লইয়াই আমি আজ আত্মদানে অগ্রসর হইলাম।”
পরিশেষে বলবো লাল সালাম অগ্নিকন্যা তোমার প্রতি। তুমি আমাদের সাহস ও পথ প্রদর্শক …………….।
লেখক – শেখ ফারজানা আলী মহুয়া, সদস্য, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ,রাজবাড়ী জেলা শাখা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়