রাজবাড়ীতে সরস্বতী প্রতিমা বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পাল, ভক্তরা করতে চান পূজা –
- Update Time : ১০:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৭ Time View
রুবেলুর রহমান, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
বিদ্যার দেবী সরস্বতী। সনাতন ধর্মাবলম্বী (হিন্দু)দের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। এদিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মন্দির, পাড়া-মহল্লা, বাসা-বাড়ীসহ বিভিন্নস্থানে পূজা আর্চনার মাধ্যমে বিদ্যার দেবীকে স্বরণ করেন ভক্তরা। তাদের ধারনা বিদ্যার দেবীর আশির্বাদে পুষ্ট হয়ে তারা জ্ঞান অর্জন করেন।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা। এ পূজাকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ী জেলা শহরের হরিজন পল্লী, হরিসভাসহ জেলার বিভিন্নস্থানে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা । ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছেন কারিগররা। এখন বাঁকী রঙের কাজ।
এদিকে বিদ্যার দেবীর প্রতিমা তৈরি হলেও করোনার প্রাদূর্ভাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ ও জন সমাগম এড়াতে নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার। ফলে সরস্বতী প্রতিমা বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রতিমা তৈরির কারিগর (পাল)রা। তবে করোনার প্রাদূর্ভাব থাকলেও সকল নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা করে দেবীর আশির্বাদ পেতে চান ভক্তরা।
শিক্ষার্থী অমিত সরকার ও সাগর বলেন, তাদের বিদ্যার দেবী সরস্বতী। দেবীর আর্শিবাদে তারা জ্ঞান অর্জন করেন। প্রতিবছর স্কুল-কলেজ, পাড়া-মহল্লা, বাসাবাড়ীতে এ পূজা হয়। কিন্তু এবছর করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় হয়তো পূজা করতে পারবেন না। তারপরও তারা চান প্রতিবছরের মত এবার পূজা হোক। এবং এ পূজার মাধ্যমে তাদের জ্ঞান অর্জন করবে।
গোকুল কুমার ও নরেশ চন্দ্র হেলা বলেন, এই বিদ্যার দেবীর কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারা পৃথিবী জাগ্রত। করোনার কারণে সব বন্ধ, আবার অনেকে পূর্জা আর্চনাও করছে না । কিন্তু পালরা আশা নিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রতিমা তৈরি করে। আজ সেই প্রতিমা গুলো বিক্রি হচ্ছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেখানে পূজা হচ্ছে না। যে কারণে সরস্বতী প্রতিমা বিক্রি কমে গেছে। তবে ধর্মের কিন্তু শেষ নাই, করোনা বা যাই আসুক কেন। পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত ধর্ম থাকবে। তারপরও সবাই ভয়ভীতি পেয়ে এখন পূজা কম করছে।
প্রতিমা তৈরির কারিগর বাবলু বিশ্বাস জানান, আজ প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। এবং এই কাজ করেই সংসার চালান। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রতিবছর প্রায় শতাধিক প্রতিমা তৈরি করতেন। যা দ্রুত বিক্রি হয়ে যেতো। কিন্তু এ বছর মাত্র ৮২ টি তৈরি করেও বিক্রি করতে পারছেন না। আজ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ৩২টি। অনেকে অর্ডার করে আবার না করে দিয়েছে। করোনায় স্কুল-কলেজ বন্ধ, পাড়া-মহল্লায় আয়োজন নাই। ফলে প্রতিমা বিক্রি নিয়ে চিন্তায় আছেন। তাছারা প্রতিমা তৈরিতে অনেক খরচ এবং সব কিছুর দাম অনেক বেশি। আজ প্রায় দুই মাস ধরে ৩ জন কারিগর এই ৮২টি প্রতিমা তৈরি করেছেন। এখন প্রতিমা গুলো বিক্রি না হলে লোকসানে পড়বেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
পাঠক প্রিয়